যুবলীগের চেয়ারম্যান পরশ, সাধারণ সম্পাদক নিখিল

নিজস্ব প্রতিবেদক:  যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি’র ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে যুবলীগের ৭ম কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে এ ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এর আগে, তিনি আগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন। নতুন কমিটি আগামী তিন বছর যুবলীগকে নেতৃত্ব দেবেন।

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম শেখ ফজলে শামস পরশের নাম প্রস্তাব করেন এবং যুবলীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ প্রস্তাবের সমর্থন করেন। এরপর আর কোন নাম প্রস্তাব না আসায় শেখ ফজলে শামস পরশ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

এরপর সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। সেখানে অ্যাড. বেলাল হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, বদিউল আলম বদি, মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সুব্রত পাল, মঞ্জুর আলম শাহিন এবং ইকবাল মাহমুদ বাবলু মোট ৭ জনের নাম প্রস্তাব আসে।

এরপর সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে সমঝোতার জন্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্দেশ দেন। পরে তার সমঝোতায় ব্যর্থ হলে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পরামর্শক্রমে মাঈনুল হোসেন খান নিখিলের নাম ঘোষণা করেন। নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

সকাল ১১.০৬ টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে যোগদেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন এবং কংগ্রেস প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় একদল শিল্পী জাতীয় সংগীত উপস্থাপন করেন। ১১.১০ এ প্রধানমন্ত্রী যুবলীগের এবারের কংগ্রেস উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যুবলীগের সম্মেলন। ক্যাসিনো, মাদক, চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির অনেককে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের অনেকে গ্রেফতার হয়ে কারাগারেও রয়েছেন।

সংগঠনটির চেয়ারম্যানকেও এসব অনৈতিক কাজে সমর্থনের জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তাই এবারের নির্বাচিত নতুন নেতৃত্বের জন্য সংগঠনটির ইমেজ সংকট দূর করা হবে বাড়তি চ্যালেঞ্জ।

এর আগে, গত ২০ অক্টোবর যুবলীগের একটি প্রতিনিধি দল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাতের আগে ওই প্রতিনিধি দলে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ যুবলীগের কয়েকজন নেতাকে না রাখার জন্য গণভবন থেকে আগেই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওই বৈঠকে বিতর্কিত অন্যদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হলেও ওমর ফারুককে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। একই সঙ্গে, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য চয়ন ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদকে সদস্য সচিব করে প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts