হরিরামপুরকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়তে চাই : সাদ্দাম হোসেন

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: রাজধানী ঢাকার অতি নিকটে হওয়ার পরও মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা দেশের অন্য উপজেলার চেয়ে অনেক অনুন্নত এবং উন্নয়নের দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে। জনগণের ভোটে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হতে পারলে, পিছিয়ে পরা এই হরিরামপুরকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সকল ধরণের প্রচেষ্টা থাকবে।

হরিরামপুর উপজেলা পদ্মা নদী বেষ্টিত হওয়া প্রতিবছরই তীরবর্তী মানুষদের নদীভাঙনের স্বীকার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরে। জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে আমি পদ্মার ভাঙনরোধে স্থায়ীবাঁধ নির্মাণে কাজ করবো। ঢাকার অতি কাছের এই হরিরামপুরে পদ্মা নদীর স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের পর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এই হরিরামপুরকে একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে চান বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তরুণ ছাত্রনেতা ও চেয়ারম্যান প্রার্থী(দোয়াত কলম প্রতীক) সাদ্দাম হোসেন।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মত দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়াই করছেন তরুণ ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এই হরিরামপুরের মাটি, আলো-বাতাসে আমি বড় হয়েছি। এখানে পাটগ্রাম স্কুলে পড়াশুনা করেছি। এই এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার শিশুকাল, বাল্যকাল কেটেছে। মাধ্যমিক পাস করা পর উচ্চশিক্ষার জন্য আমি ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেছি।

তিনি বলেন, ‘স্কুলজীবন থেকেই আমি ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সেই সুবাদে ইউনিয়ন ছাত্র রাজনীতি, উপজেলা এবং বর্তমানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করছি। রাজনীতি করতে গিয়ে নিজের দায়িত্বরোধ থেকে বা চেতনা থেকে দেশ, সমাজ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর কাজ করতে হবে। আর আমি বিশ্বাস করি জনগণের সেবা করার অন্যতম জায়গা হলো রাজনীতি। আর রাজনীতির শেষশর্ত হচ্ছে জনপ্রতিনিধি। জনগণের আস্থা, ভালবাসা আর তাদের ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হয়ে সমাজ দেশ এবং জনগণের সেবার করার সবচেয়ে বড় উপায় বলে আমি বিশ্বাস করি।

তরুণ এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি ছোট বেলা থেকেই ছাত্ররাজনীতির মধ্যেদিয়েই আমি চিন্তা করতাম রাজনীতি করবো, বড় হবো এবং জনপ্রতিনিধি হয়ে দেশ ও মানুষের সেবা করবো।

 নির্বাচনো জয়ের বিষয়ে কতটুকু আশাবাদি জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি করার মধ্যদিয়ে হলেও আমি নির্বাচনে এসেছি। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রী কমিটির একজন সক্রিয় কর্মী এবং জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে সুষ্পষ্ট সাড়া পাচ্ছি এবং তাদের আমি পাশে পাচ্ছি। এ ছাড়া এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ আমার সাথে আছে। যেদিকেই যাচ্ছি জনগণের প্রবল সাড়া পাচ্ছি। কারণ মানুষ পরিবর্তন চায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ। সাধারণ ভোটাররা আগামীতে তরুণদেরকে নেতৃত্বে দেখতে চায়। কাজেই হরিরামপুরে তরুণের কাছ থেকে আমি শতভাগ ভোট পাবো যেহেতু আমিও তরুণ। সর্বপরি তরুণ সমাজ, আমার বয়জেষ্ট মুরুব্বিয়ানরাসহ উপজেলার ভোটাররা আগামী ৮ মে আমাকে দোয়াত কলম প্রতীকে ভোট দিবে এবং তাদের ভোটের রায়ে আমাকে বিজয়ী করবে বলে আমি আশা করছি।

আসন্ন ষষ্ট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে। প্রচন্ড গরম আর তীব্র তাপদাহের মধ্যে তাই থেমে নেই প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থণাসহ ভোটারদের নানা প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন প্রার্থীরা।

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠে লড়ছেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের চারজন ও বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়া প্রার্থী রয়েছেন একজন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে আটজন এবং ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) পদে চারজন ভোটে অংশ নিচ্ছেন।

জেডএইচসি/মানিকগঞ্জ

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts