জ ই বুলবুল: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে বিএনপি নেতা পরিচয় দিয়ে উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আলমকে প্রধান আসামী করে আ.লীগের সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের ৫৪ নেতাকর্মীর নামে মামলা করার তথ্য পাওয়া গেছে।
এই মামলায় অজ্ঞাত আরও ৬০-৭০ জনকে আসামিও করা হয়েছে।
বুধবার উপজেলার নাটঘর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি মো: হুমায়ুন মেম্বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আদালতে এই মামলাটি করেন। অথচ তিনি মামলা আর্জিতে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে দাবি করেন। অথচ ২০২২ সালের গঠিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কমিটিতে তিনি সহ-সভাপতি হিসেবে পদে রয়েছেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, নাটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম আলম, ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বিটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ খাঁন, নাটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাউছার মোল্লাহ, আ.লীগ নেতা শাহজাহান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুলীগ নেতা এইচএম আল আমিন, ব্যাবসায়ী বাছির মিয়া নাটঘর, বিটঘরের আব্দুর রাজ্জাক, বিটঘর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি মামুন মিয়া, বিটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব মিয়া, যুবলীগ নেতা বেলায়েত, উপজেলা আ.লীগের সাবেক সদস্য কবির আহাম্মদ, বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কবির আহমেদ, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা আলমগীর, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু তাহের মেম্বার, আওয়ামীলীগ নেতা শামসুল হক, যুবলীগ নেতা আব্দুর রউফ, বিটঘর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি উজ্জল মেম্বার, সহ-সম্পাদক নান্টু ঘোষ,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহবুব, বিদ্যাকুট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পিন্টু ভদ্র, বড়াইল ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল, নাটঘর গ্রামের জহর মিয়া, সুহেল মিয়াসহ ৫৪ জন।
এজাহারে মামলার বাদী হুমায়ুন মেম্বার অভিযোগ করে বলেন, মামলার আসামিরা গত ৪ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকেসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করে।
আ.লীগের ৫৪ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি হুমায়ূন মেম্বার মামলাটি করার পর থেকে সমালোচনার ঝড় উঠেছে পুরো উপজেলার জুড়ে।
নাটঘর ইউনিয়ন আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাক অ্যাড. হাবিবুর রহমান বলেন, হুমায়ুন মেম্বার নাটঘর ৮নং ওয়ার্ড আ.লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন৷ বিগত দিনে আ.লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন তিনি। সরকার পতনের পর বিএনপির কিছু নেতার ফাঁদে পা দিয়ে বিএনপি সেজে এখন আ.লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে৷ আমরা এই মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার চাই৷