জ ই বুলবুল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নবীনগর উপজেলা কৃষকদল ও নবীনগর পৌর কৃষকদলের যৌথ বর্ধিত সভা শুক্রবার মহিলা ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক কে.এম মামুন অর রশিদ।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের আমলে কৃষকদের দুদর্শা ও আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে আওয়ামী লীগের পতন হলেও আমাদের আন্দোলন শেষ হয় নাই, তাদের দুসর প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে,আমাদের সজাগ থাকতে হবে,এদেশের ফ্যাসিবাদীদের জায়গা হবে না,তারা এদেশের অনেক আলেম-ওলামাদের নির্বিচারে গুম হত্যা নির্যাতন করেছে।
আপনারা দেখেছেন, সেই জালিম সরকারের এক প্রেতাত্মা আলেম-ওলামাদের শত্রু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কলঙ্ক আওয়ামী দুঃশাসনের গৃহায়ন মন্ত্রী র,আ,ম মুক্তাদির চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে,তার ফাঁসির দাবিতে আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে, আমরা নবীনগরের কৃষক দলের এই মঞ্চ থেকে অন্তর্ভুক্তিকালীন সরকারের কাছে দ্রুত তার ফাঁসি কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের তারুণ্যের অহংকার, আগামী দিনের দেশের রাষ্ট্রনায়ক দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশনা দিবেন সেই নির্দেশনা মোতাবেক আপনারা বাংলার কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে দলের হয়ে কাজ করে যাবেন। কেন্দ্রীয় কৃষকদলের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে সভা সমাবেশের মধ্য দিয়ে কৃষকদের সমস্যা গুলো তুলে এনে আগামী দিনে কৃষিবিপ্লবের মাধ্যমে কৃষকের জীবন উন্নয়নে কাজ করে যাব।
তিনি আরো বলেন, এই নবীনগরে আমার জন্ম, নবীনগরের উন্নয়নে আমি কাজ করতে চাই, আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী, বিএনপি বড় দল হিসাবে গ্রুপিং থাকবে, প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে আমরা ঐক্যবদ্ব, দল যাকেই মনোনয়ন দিবে তার পক্ষেই আমরা কাজ করব।বর্ধিত সভায় আগামী দিনের দলকে সংগঠিত করতে সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বর্ধিত সভার প্রধান বক্তা ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ এনায়েত উল্লাহ খোকন। তিনি তার বক্তব্যে আওয়ামী দুঃশাসনের আমলে জনদুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে চাউল দশ টাকা কেজি, ঘরে ঘরে চাকরি দেয়ার কথা বলে জনগণকে ধোঁকা দিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করেছে,সালমান এফ রহমানরা এই দেশটাকে লুটেপুটে খেয়েছে।
১৯৭১ সালে পাক হানাদাররা এদেশের নিরীহ মানুষের উপর যখন ঝাঁপিয়ে পড়েছিল,তখন এই ফ্যাসিবাদী লোকগুলা পালিয়ে গিয়েছিল,তখন দিশেহারা এ জনগণকে সংঘটিত করতে মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান তৎকালীন সেক্টর কমান্ডার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে এ দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। এই ঘোষণা শুনে বাংলার দামাল ছেলেরা যুদ্ধের ঝাঁপিয়ে পড়ে নয় মাসে এ দেশকে স্বাধীন করে।
তিনি বলেন,বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ও বিএনপির আন্দোলন একই সূত্রে গাথা, আন্দোলনে আমাদের অনেক ছেলেমেয়েরা প্রাণ দিয়েছে, আমাদের আন্দোলন এখনও শেষ হয় নাই, যতদিন পর্যন্ত একটি অংশগ্রহণমূলক আবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন না করবে ততদিন পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বর্ধিত সভাটি উদ্বোধন করেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষকদলের আহবায়ক আবু শামীম মোঃ আরিফ (ভিপি শামীম)। এতে সভাপতিত্ব করেন,নবীনগর উপজেলা কৃষকদলের আহবায়ক হাজী মোঃ জহিরুল হক জুরু মিয়া।
বিশেষ বক্তা ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব মোঃ জিল্লুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মোঃ সাইফুল হক, জেলা কৃষক দলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ আল আমিন,জেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক মোঃ ইবনুল হাসান সবুজ, জেলা কৃষকদলের যুগ্ন আহবায়ক আল আমিন,নবীনগর কৃষকদলের সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আবদুর রহিম।
নবীনগর উপজেলা কৃষকদল সদস্য সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন বাবুল ও পৌর কৃষক দলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন খান এর যৌথ সঞ্চালনায় উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে থেকে আগত নেতা/কর্মীরা বক্তব্য রাখেন।