মো. ইয়াসিনুর রহমান
আল্লাহতাআলা মানুষকে পৃথিবীর অন্য সব প্রাণী থেকে আলাদা করে তৈরি করেছেন। মানুষকে বলা হয় আশরাফুল মাখলুকাত। মানুষের জীবনে যেমন প্রতিকূলতা আছে তার বিপরীতে আছে অনেক সম্ভাবনা।
একজন মানুষ চাইলে অনেক বিশেষত্বই অর্জন করতে পারে। যা তার ব্যক্তিগত জীবনকে আলোকিত করে পাশাপাশি সমাজ, দেশ ও বিশ্বের চিত্রকেও পাল্টে দিতে পারে।
আমরা যদি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাবো অনেক দেশের মানুষই আছে যারা তাদের জীবনকে নির্দিষ্ট পেশায় আবদ্ধ রাখেনি। তারা জীবনে নানা কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। যা তাদেরকে অর্থনৈতিক মুক্তির পাশাপাশি কোয়ালিটি টাইম পাসের নিশ্চয়তা দেয়।
আমরা জানি ব্যস্ত জীবনই, সুখী জীবন। তাই সুখী জীবন তৈরিতে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা অর্জনে মনোনিবেশ করা জরুরি। আমরা বেশির ভাগ মানুষই নিজেদের সময়কে নানাভাবে অপচয় করে থাকি! যা এক সময় আমাদের হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আমাদের চারপাশে ছোটবড় অনেক কাজে নিয়োজিত হওয়ার মাধ্যমে হতাশা দূর করার পাশাপাশি কোয়ালিটি টাইম নিশ্চিত করতে পারি।
একজন শিক্ষার্থী কি শুধু লেখাপড়া করবে? লেখাপড়া পাশাপাশি সে কিছুই করতে পারবে না? উত্তর হলো অবশ্যই পারবে। এই পারাটার জন্য তার এবং তার পরিবারের সদিচ্ছা লাগবে। একজন শিক্ষার্থী তার পড়ালেখার পাশাপাশি পারিবারিক কাজে সাহায্য করতে পারে, সামাজিক কাজ, সভা -সেমিনারে অংশগ্রহণ করতে পারে ইত্যাদি তেমনি একজন চাকরিজীবি তার পেশার বাইরে বিভিন্ন পেশার জ্ঞান আহরণ করার মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। যদিও সব সমাজ, দেশে বিভিন্ন কাজে দক্ষতা অর্জন করার সুযোগ সমান নয় তারপরও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আমাদের সাধ্যমত চেষ্টা করা উচিত।
আমি খুব কাছে থেকে কিছু মানুষকে দেখেছি যারা কর্মহীনতায় কখনোই ভোগেন নি। একটি পেশা থেকে সহজেই অন্য আরেকটি পেশায় অল্প সময়ে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষরই এই দক্ষতা নেই কারণ তারা নির্দিষ্ট পেশার বাইরে অন্য কোনো পেশার জ্ঞান চর্চা করতে আগ্রহী নয়। নতুন কিছু শিখতে সংকোচবোধ হয়। যা তাদের জীবনকে সহজ ও সুন্দর করতে প্রধান অন্তরায় বলে আমি মনে করি। তাই আমাদের উচিত জীবনকে সহজ ও সুন্দর করতে বহুমুখী দক্ষতা অর্জন মনোনিবেশ করা
লেখক: কন্টেন্ট ক্রিয়েটর ও সমাজ সংস্কারক।