জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ ॥ ঝিনাইদহ জেলার সদর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের তেতুলবাড়ীয়া গ্রামে পুলিশে সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ২ যুবক নিহত হয়েছেন। তাছাড়া জানা গেছে, এ সময় পুলিশের আরো এসআইসহ ৩ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে নিহতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে তেতুলবাড়ীয়া এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত নাশকতা সৃষ্টির জন্য অবস্থান করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহ সদর থানার পুলিশ তেতুলবাড়ীয়া রাস্তা দিয়ে টহল দিচ্ছিল।
এ সময় তেতুলবাড়ীয় গ্রামের উত্তর মাঠের মধ্যে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পরে প্রায় ২০ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। এর এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ঘটনাস্থল থেকে ২ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দেশীয় তৈরি একটি শ্যুটারগান, অস্ত্র, ২ রাউন্ড গুলি, ৬টি হাসুয়া ও ৫টি বোমা উদ্ধার করা হয়।
কথিত এ বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের এসআই প্রবীর, সদস্য রাব্বি ও তরিকুল আহত হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অপরদিকে শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহে মন্দিরের এক সেবায়েতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত শ্যামানন্দ দাস ওরফে বাবাজি (৫৫) সদর উপজেলার উত্তর কাষ্টসাগরা গ্রামের শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল মঠের সেবায়েত।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ বর্বরতম ঘটনা ঘটেছে। নিহত শ্যামানন্দ দাস বাবাজি নড়াইল সদর উপজেলার মুসুড়িয়া গ্রামের কিরণ দাসের ছেলে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ জানিয়েছেন, সেবায়েত শ্যামানন্দ দাস ৩ বছর আগে ঝিনাইদহের উত্তর কাষ্টসাগরা শ্রী শ্রী রাধামদন গোপাল মঠ মন্দিরে আসেন। এরপর থেকে মঠের সেবায়েত হিসেবে কাজ করছিলেন।
প্রতিদিনকার মতো শুক্রবার সকালেও পূজা দেয়ার জন্য মন্দিরের পাশেই তিনি ফুল তুলছিলেন। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে ৩ জন দুর্বৃত্ত এসে তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।