‘রঙ’ দিয়েই নিজেকে জানুন

রঙই বলে দেবে আপনি কী ধরনের মানুষ। কোন রঙ পছন্দ আপনার! নিচের চারটে রঙের মধ্যে যে কোনও একটা রঙ বাছুন। এই রঙই বলে দেবে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন। আপনার শক্তি, দুর্বলতা, পজিটিভি, নেগেটিভ দিকটা কোনটা।

পছন্দের রঙ যদি লাল হয়

আপনার ভাল দিক : খুব তাড়াতাড়ি ফল চান বলে পরিশ্রম করেন। খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ শুরু করেন বলে বাকিদের থেকে এগিয়ে থাকেন। আপনার অধ্যবসায়, ধৈর্য্য অসীম। সমস্যার সমাধান করতে এগিয়ে যান। অনেক সময় সমাধান করেও ফেলেন।

আপনার দুর্বলতা : বড় বেশি ঝুঁকি নিয়ে নেন। মাঝপথে বুঝতে পারেন ভুল হয়ে গেছে। তখন আর বেরিয়ে আসতে পারেন না। খুব বেশি কথা বলে ফেলেন। নেতৃত্ব দিতে না পারলে হতাশায় ভূগে কাজের আগ্রহ হারান। অন্যকে সময় দিতে চান না। ভুলেই যান সবাই আপনার মত প্রতিভাবান নন।

আপনার পছন্দের রঙ যদি সবুজ হয়

আপনার পজিটিভ দিক : সহযোগিতা করেন। সব কথা মেনে চলতে পারেন। খুব বিশ্বাসী। খুব ভাল শ্রোতা।

আপনার নেগেটিভ দিক : পরিবর্তন পছন্দ করেন না। বড্ড একঘেঁয়ে বলে আপনার একটা বদনাম আছে। সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে সময় নেন। সিদ্ধান্ত নিতে খুব গড়মসি করেন। একটা সিদ্ধান্ত নিতে এত সময় নিয়ে ফেলেন যে দেরি হয়ে যায়। অস্থির মস্তিষ্কের মানুষ।

 পছন্দের রঙ যদি হলুদ হয়
আপনার পজিটিভ দিক : কোনও অবস্থাতেই হতাশ হন না। অন্যদের সাহায্য করতে ভালবাসেন। এমনও অনেক সময় হয়েছে যার পাশে কেউ নেই, তার পাশেও আপনি দাঁড়িয়েছেন। আপনার মত উত্‍সাহ, প্রাণশক্তি খুব কম লোকের আছে। অনেকের মধ্যে কাজের ইচ্ছা, জ্ঞান ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।

আপনার নেগেটিভ দিক : অনেক সময়ই ভুল জায়গায় ভুল সময়ে কথা বলে ফেলেন। মানে অপাত্রে দান যাকে বলে। খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যান। অত তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবেন না।মাঝেমাঝেই বেশি প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেন। নিজের ক্ষমতা মেপে প্রতিশ্রুতি দিতে শিখুন। অহেতুক কাজ নিয়ে বাড়াবাড়ি করে ফেলেন।

পছন্দের রঙ যদি নীল হয়
আপনার পজিটিভ দিক: মনের কথা শোনেন। নিয়মনিষ্ঠা মেনে চলেন। চেষ্টা করেন সব কিছু মন থেকে করার খুব শৃঙ্খলাপরায়ন। শৃঙ্খলা মানে ঠিক সময় ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া এসব নয়। নিজের কাজ উদ্ধারের জন্য নিজের মত করে একটা শৃঙ্খলা চক্র গড়ে তোলেন এবং সেটা মানেন। আবেগপরায়ন কিন্তু যুক্তি দিয়েও বিচার করেন। তথ্য দিয়ে সব বিচার করার পর সিদ্ধান্ত নেন।

আপনার নেগেটিভ দিক : সমালোচনা একদম মেনে নিতে পারেন না। কিছুটা অসহিষ্ণু বলা যায়। মাঝেমাঝেই অল্প কোনও কিছুতেই বড্ড বেশি নেগেটিভ হয়ে যান। বড্ড বেশি ঈর্ষান্বিত। নিজের জীবন নিয়ে এত ডুবে থাকেন, অন্যের সমস্যা,কষ্টগুলো পাত্তা দেন না।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts