বিডি মেট্রোনিউজ ।। অফিসে এসেই যা করবেন না । কারণ অফিসের প্রথম মিনিট দশেক কিন্তু মোটামুটি আমাদের বাকি দিনটার শরীর স্বাস্থ্য ঠিক করে দেয়। তাই শুরুর কটা মিনিট কতগুলো জিনিস এড়িয়ে যাওয়া ভীষণ জরুরি।
দেরি করে অফিসে আসা : একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যে সমস্ত কর্মচারীরা অফিসে আসতে প্রায় রোজই দেরি করেন বসেরা ধরেই নেন, কাজের প্রতি সেই কর্মচারীরা যথেষ্ট মনোযোগী নন। তারা সারাদিন যতই কাজ করুন না কেন, অফিসে যতক্ষণই থাকুন না কেন বদলায় না বসেদের মনোভাব। তাই একটু অভ্যাস বদলান। নিজের স্বার্থেই জলদি অফিস ঢোকার চেষ্টা করুন।
সহকর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার : সকাল বেলা অফিসে এসেই অনেকে মুখটা প্যাঁচা করে রাখেন। পাশেই বসা সহকর্মীর সঙ্গে একটু হাসি বিনিময় করতেই যেন অনীহা। এমনটা করলে কিন্তু সহকর্মীদেরও আপনার প্রতি বিরক্তি বাড়বে। দরকারে আপনাকে একটু সাহায্য করতেও তারা পাঁচ বার ভাববেন। দিনটা শুরু করুন পাশের মানুষটিকে ছোট্ট ‘হাই’ বা মিষ্টি এক টুকরো হাসি দিয়ে।
কফি দিয়ে কাজের শুরু : কাজে এসেই চারপাশে একটুও না তাকিয়ে ছুটলেন ধোঁয়া ওঠা কফি কাপের দিকে। গবেষণা বলছে সকাল সাড়ে নটার আগে কফি খাওয়া এক্কেবারে উচিত্ না। সকাল ৮টা থেকে ৯টায় স্ট্রেস হরমোন কর্টিজল সবথেকে বেশি সক্রিয় থাকে। এই সময়ে কফি খেলে কর্টিজলের কর্মক্ষমতা কমে, সারাদিন ক্যাফেনের প্রতি আসক্তি তীব্র হয়। ব্যস সারাদিনের ঝিমুনি আর মনের কফি কাপের পিছনে ছোটাছুটি, কাজের দফারফা, সব মিলিয়ে সে এক বিচ্ছিরি ব্যাপার। অতএব, মন যতই চাক, সাত সকালেই কফির সঙ্গে আড়ি মাস্ট।
ইনবক্সে প্রতিটা ই মেলের জবাব দেওয়া : সকালে অফিসে এসেই কম্প্যুটার অন করেই মেল বক্স খুলেই একের পর মেলের উত্তর দিতে শুরু করে দেন অনেকেই। ব্যাস একবার এ চক্করে ফেঁসে যাওয়া মানেই গেল বাকি দিনটা।
দিনপঞ্জি ঠিক না করেই অফিসে আসা : আমরা অনেকেই রোজ অফিসে যাই কিন্তু একে বারে দিক্ভ্রান্ত হয়ে। মাথাতেই থাকে না আজ অফিসে গিয়ে কী করব, অফিসে এসেই তখন একগাদা কাজের মাঝে ঘেঁটে ঘ। কোন কাজটা আগে করব, কোনটা পরে তা ভাবতে ভাবতেই দিন কাবার। এ রকমটা ভুলেও করবেন না। অফিসে ঢোকার আগেই মোটামুটি সে দিনের দিনপঞ্জিটা মোটামুটি ছকে নিন মনে মনে।
সহজ কাজটা আগে করে ফেলা : এসেই যদি তড়িঘড়ি সহজ কাজটা আগেই করে নেন, তা হলেই গণ্ডগোল। পরে কিন্তু কঠিন কাজ করার আর এনার্জি হবে না। তার চাইতে বরং কঠিন কাজ দিয়েই দিনের শুরুটা ভাল। সেই সময় এনার্জি উইল পাওয়ার দুটোই দারুণ থাকে। কঠিন কাজ সহজেই হয়ে যায়।
মাল্টি টাস্কিং : যেহেতু দিনের শুরুতে এনার্জি তুঙ্গে, তাই আমরা অনেকেই ভাবি সেই এনার্জির হাত ধরে অফিসে এসেই একগাদা কাজ করে ফেলতে পারব। গবেষণা কিন্তু ঠিক উল্টো কথা বলে। শুরুটা করুন আস্তে আস্তে, এক এক করে।
নেগেটিভ চিন্তা : একগাদা নেগেটিভ চিন্তা নিয়ে অফিস ঢুকলেই বাকি দিনটা নেগেটিভ থাকবে। মন যতই খারাপ থাকুক অফিসে আসুন মনটা হালকা করে। আজ কিছু করতে ভাল লাগছে না ভাবলেই কিন্তু কেলো।
মিটিং : অফিসে এসেই মিটিং করতে ছোটা খুব খারাপ অভ্যাস। মিটিং দিয়ে ভুলেও দিন শুরু করবেন না।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা