শেখ হাসিনা॥অর্থনৈতিক মুক্তির পথিকৃত

মো. আনোয়ারুল ইসলাম খান []

সনাতন অনগ্রসর সমাজ ব্যবস্থায় বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অধিকাংশ নারী অবহেলা, অনাদর আর প্রবঞ্চনার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে জীবনকে ভাগ্যের নির্মমতায় সমর্পণ করে যাচ্ছে অবিরত, অনাকাঙ্ক্ষিত নীরব কান্না বুকে চেপে। সমাজ জাতি, ধর্ম-বর্ণ গোত্র-গোষ্ঠী আর ভৌগোলিক সীমারেখা কোনোটাই নারীদের অনুকূলে কখনই অবস্থান নেয়নি। রাষ্ট্র ও সমাজ যুগ যুগ ধরে নারীদের পেছনে রেখে শাসন আর নিষ্ঠুরতা দিয়ে একতরফাভাবে পুরুষের ইচ্ছাপূরণে সক্রিয় রেখেছে। ঘরে বাইরে শুধু অনাদর আর শাসন, বৈষম্য আর বৈপরীত্য নারী সমাজকে বিকশিত হওয়ার অধিকার আদায়ের সুযোগ দেয়নি।

সময়ের বিবর্তন, শিক্ষার প্রসার, কর্মের ধরন ও ক্ষেত্র উন্মোচন, আধুনিকতার ছোঁয়া, রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় নারীকে মূল্যায়ন, আন্তর্জাতিক সৌহার্দ ও সহযোগিতা বৃদ্ধি নারী উন্নয়নে নব দিগন্তের সূচনা করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু আজীবন স্বপ্ন দেখেছিলেন নারী পুরুষের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার, স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন উন্নত সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য। সময়ের আবর্তনে, কলঙ্কিত ১৫ আগস্টের চৌকাঠ পেরিয়ে সেই স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব পড়েছে দেশরত্ন রাজনৈতিক ধীশক্তি আর প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ জাতির জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণ আর অবস্থানকে তিনি ভিন্ন আঙ্গিকে মূল্যায়ন করতে পেরেছেন। তার বলিষ্ঠ, দ্ব্যর্থহীন নেতৃত্ব পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশকে নানা বর্ণে উদ্ভাসিত-আলোকিত করে প্রশংসার ক্ষেত্র সৃষ্টি করতে পেরেছে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে অংশগ্রহণ করেছিলেন চীন, ভারত, রাশিয়া ও যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পঞ্চাশের অধিক নেতৃবৃন্দ। বিদেশি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপমহাদেশের বিরল নেতা বলে আখ্যা দেন। অনেকেই তাকে ভারতীয় উপমহাদেশের সুযোগ্য নেতা বলেও মনে করেন।

bdmetronews-2

সম্মেলনে ভারত সরকারের পক্ষে ভারতীয় জনতা পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট বিনয় শেখ হাসিনাকে ‘জননেত্রী’ সম্বোধন করে বক্তব্যে তাকে বিরল নেতাদের অন্যতম উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনি সত্যিকারের জননেত্রী, শুধু আপনার দেশের নয় বরং পুরো উপমহাদেশের এবং সেই সঙ্গে বিশ্বপটে। ভারতের বিরোধী দলের কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আপনি হবেন অন্যতম শীর্ষ নেতা, সন্ত্রাসবাদের আগ্রাসন থেকে এই উপমহাদেশকে আপনি রক্ষা করবেন আমরা সেটাই দেখতে চাই।’

কাউন্সিলে উপস্থিত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের উপমন্ত্রী জেং শিয়া ওয়াওসং বলেন, ‘শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে এবং স্থিতিশীলতা অব্যাহত আছে।’ তাই সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে আরো গভীরে নিতে চীন সরকারের আগ্রহ ব্যক্ত করেন তিনি।

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-পার্থ চ্যাটার্জি, ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির নেতা বিমান বসু, নেপালের ড. রাম শর্মা মাহাত, শ্রীলঙ্কার এএইচ মোহাম্মদ হাশিম, ভুটানের দিন নাথ দুঙ্গিয়েল, ইউনাইটেড রাশিয়ার উপ-সাধারণ সম্পাদক সেগেই ঝেরেজনিয়াক, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, কানাডা ও ইতালি থেকে আগত নেতবৃন্দ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক বিচক্ষণতা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় তার যুগান্তকারী সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

নেতৃবৃন্দ সহিংসতা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশের অবস্থানকে সমর্থন করেন। বিদেশ থেকে আগত সকালেই অনেক দৃঢ়চেতা উচ্চমাপের নেতা। তাদের বক্তব্যে এটা প্রতীয়মান হলো যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন আর কেবল বাংলাদেশের নেত্রী নন, তিনি আজ বিশ্ব পর্যায়ের একজন নেত্রী হিসেবে নিজেকে পরিচিত করতে সক্ষম হয়েছেন। বিশ্ব নেতৃত্ব শেখ হাসিনার অবদান আর অবস্থান সমুজ্জল।

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, রাষ্ট্রের সার্বিক অগ্রগতি আর পথযাত্রায় একচ্ছত্র নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে শেখ হাসিনা আজ সকলের কাছে প্রশংসনীয়। তার বলিষ্ঠ ও সৃজনশীল নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাঙালি জাতির স্বতন্ত্র জাতিসত্তার গঠন-গড়ন প্রক্রিয়ার ভেতর থেকে গড়ে ওঠা স্বাধীনতার স্বপ্ন, জাতির সার্বিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আপোষহীন নেতৃত্বে চূড়ান্ত পরিণতি নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র গর্বের বাংলাদেশ। বাঙালি জাতির এ ইতিহাস আর ঐতিহ্যের মহানায়ক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান। স্মরণ রাখতে হবে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ পর্বের বিগত দিনের উল্লেখযোগ্য রক্ত ঝরানো বিপ্লব-আন্দোলন সংগ্রাম ও অর্জন আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু তার কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার যুগান্তকারী অবদানের ফসল।

মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠন-পুনর্বাসন সম্পন্ন করে বঙ্গবন্ধু যে মুহূর্তে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের একটি শক্তিশালী ভিত রচনা ও সার্বিক উন্নয়নে মনোনিবেশ করছিলেন ঠিক তখনই মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি দেশি-বিদেশি চক্রের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রে সংঘটিত হয় বাঙালি জাতির ইতিহাসে মর্মান্তিক বিপর্যয়, বেদনাবিধুর ১৫ আগস্ট, জাতির ললাটে অঙ্কিত হলো কলঙ্কের কালো দাগ।

উল্লেখ্য যে, ১৯৮১ সাল থেকে শুরু করে আন্দোলন সংগ্রামের দীর্ঘপথে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার ও গৃহবন্দি, প্রায় এক বছর শেরেবাংলা নগরের নির্জন কক্ষে সাবজেলে কাটানোসহ, মিথ্যা মামলায় বিশেষ আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জনসভাস্থলে বিধ্বংসী শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখা, জনসভার উদ্দেশ্য যাত্রাপথে তার গাড়িবহরে শত শত রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে অসংখ্য নেতা কর্মীকে হতাহত করা হয়েছে। আল্লাহর অশেষ রহমতে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ২১ আগস্টের জনভায় বক্তৃতার সময় ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল।

ষড়যন্ত্র, আর প্রাণনাশের চেষ্টাকে উপেক্ষা করে অসীম ত্যাগ ও ধৈর্যের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে তিনি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে পৃথিবীর মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা উড়াতে তিনি অবিরাম পরিশ্রম করে সাফল্যের দিকে এগোচ্ছেন।

সামাজিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি অভূতপূর্ব এবং বিশ্ব পরিম-লে সুস্পষ্ট, দৃশ্যমান। বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ১১০০ আমেরিকান ডলারে দাঁড়িয়েছে, গড় আয়ু বেড়ে ৬৯ বছরে উন্নীত হয়েছে। স্বাস্থ্যসেবার মান ও সুযোগ গ্রাম পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা হয়েছে। মা ও শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হ্রাস পেয়েছে। সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধিত হয়েছে।

নারীর ক্ষমতায়নে যুগান্তকারী এক ঈর্ষণীয় অগ্রগতি সূচিত হয়েছে। মেয়েদের শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। দেশে শিক্ষার হার ক্রম অগ্রসরমান। নারীদের জন্য কর্মের সুযোগ অনেকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, যে কেউ ইচ্ছা করলেই এখন কর্মমুখী হতে পারেন।

জননেত্রী শেখ হাসিনার সঠিক ও সময়োপযোগী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেলে রূপান্তরিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে ও সূচকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশের চিত্রটি বার বার তুলে ধরা হয়েছে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের নেতৃবৃন্দের বক্তব্যে ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের পরিপ্রেক্ষিত সুস্পষ্টভাবে উঠে এসেছে। সাহসী নেতৃত্ব, দৃঢ় মনোবল, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত রাজনৈতিক প্রত্যয়ে দীপ্ত শেখ হাসিনা দেশকে বিশ্ব দরবারে উঁচু মাত্রায় দাঁড় করানোর লক্ষ্যে নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

বিশ্বে এ বছরের সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অষ্টম অবস্থানে। নাগরিকদের সন্তুষ্টি, গড় আয়ু, পরিবেশের ওপর প্রভা ও বৈষম্য এই চার মানদ- বিবেচনায় নিয়ে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ কথা হয়েছে। এসব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ইতিবাচক এবং প্রশংসনীয়।

এখন সময় এসেছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার। কাজী নজরুল ইসলামের সেই পঙ্ক্তি পুনর্ব্যক্ত করে বলতে হয় ‘উন্নত মমশির’। সাফল্যের ধারাবাহিকতাকে অপ্রতিরোধ্য করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ অবিচল, প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশের জনগণ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করার। উন্নয়নের মহাসড়কে চলমান রয়েছে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকা- এবং এই মহাসড়কে সংযুক্ত করা হয়েছে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। সরকারি এবং বেসরকারি অর্থায়নে এই অঞ্চলসমূহে গড়ে উঠবে শিল্প, বাণিজ্য, ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা, সংস্কৃতি আর মানবসম্পদ উন্নয়নের এক অনবদ্য সুরঝংকার। এই ঝংকারের প্রতিটি সুর আর তরঙ্গ ঘিরে আছে, উন্নয়ন পিপাসী, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের অন্যতম কারিগর জাতিসত্তায় বিমোহিত জননেত্রী শেখ হাসিনা।

স্বজন হারানোর কান্না আর বেদনার হাহাকার আজ তাকে জাতি গঠনে আপোষহীন আত্মপ্রত্যয়ী করে তুলেছে। রাজনীতিতে অতিসক্রিয় মহান এই নেত্রী তার প্রখর মেধা ও মননের প্রয়োগে রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন। রাজনীতিতে যুক্ত করেছেন উন্নয়নের ধারা। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে নিজের সততা, দৃঢ়চেতা সিদ্ধান্ত, দূরদর্শিতা, পারস্পরিক সহযোগিতা আর সক্রিয় যোগাযোগের মানদন্ডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। মা, মাটি ও মানুষের অবিচ্ছন্ন সম্পর্ক শেখ হাসিনার সকল চিন্তা চেতনা আর উদ্যমের উৎস।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল সুষ্ঠু ও সার্থকভাবে সম্পন্ন করে শেখ হাসিনার রাজনৈতিকপ্রজ্ঞা আর প্রতিভার প্রমাণ রেখেছেন, দলকে সুসংগঠিত ঐক্যবদ্ধ আর প্রতিশ্রুতিশীল করে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করেছেন। জাতীয় জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে জননেত্রী শেখ হাসিনা অতি তীক্ষ্নভাবে দৃষ্টিপাত করে যথার্থতা যাচাই বাছাই পূর্বক সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর নির্দেশনা দিয়ে উন্নয়নের মহাসড়কের চাকা রেখেছেন সচল এবং গতিময়।

নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেনের মতে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বকে চমকে দেয়ার মতো সাফল্য আছে বাংলাদেশের। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের নেতৃত্ব আরও প্রশংসিত হতে পারে।

ক্ষুধা, দারিদ্র্য আর সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্যমাত্রা। এই লক্ষ্য অর্জনে ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা সফলতার সাথে বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, দেশীয় এবং বিদেশি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, উন্নয়ন কর্মকা-ে জনগণের সার্বিক সহযোগিতা ও সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সঠিক যুগোপযোগী নেতৃত্ব সোনার বাংলার স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে তাতে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না। স্বপ্নের পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতা, দৃঢ় মনোবল, আর আত্ম মর্যাদার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা সম্ভব করে তুলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।

সমগ্র পৃথিবী আজ বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখছে বদলে যাওয়া সংগ্রামী এক বাংলাদেশকে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিপুল উৎসাহ আর আগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশ সফর করছেন। দেশে বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচন হচ্ছে। সেই সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বেগবান হয়ে উঠছে।
শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে মর্যাদার পতাকা হাতে। আসুন, শ্রদ্ধা ভালোবাসায় আমরা মহান এই নেত্রীকে গর্বিত আর উজ্জীবিত করে দেশ প্রেমের বিরল এই কান্ডারীকে প্রতিষ্ঠিত করি হৃদয় ও মননে।

মো. আনোয়ারুল ইসলাম খান : বীর মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক ছাত্রনেতা।সাবেক পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর, স্বাস্থ্য শিক্ষা ব্যুরো, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts