বিডি মেট্রোনিউজ ।। সবার আগে শেষ চারে মাশরাফির কুমিল্লা। বরিশালকে বুলসকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট শুরু করা দলটিই সবার আগে পৌঁছে গেল শিরোপা লড়াইয়ের পরের ধাপে।
ক্রিস গেইল ও এভিন লুইসকে নিয়ে গড়া বরিশালের বিস্ফোরক উদ্বোধনী জুটি আবারও ছিল নিষ্ক্রিয়। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১০৫ রানেই থমকে গিয়েছিল বরিশাল। কুমিল্লা সেই রান তাড়া করে ফেলে স্রেফ ৩ উইকেট হারিয়ে, ১৫ বল বাকি থাকতে।
চোটের কারণে এই ম্যাচেও বোলিং করতে পারেননি মাশরাফি বিন মুর্তজা। ব্যাটিংয়ে নামার প্রয়োজন হয়নি। তবে অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বে তিনিই কুমিল্লার সাফল্যের মূল নায়ক। বিপিএলের প্রথম দুই আসরে তিনি শিরোপা জয়ী অধিনায়ক। এবার কাগজ-কলমের হিসেবে ক্রিকেটীয় শক্তিতে অনেক পিছিয়ে থাকা, নানা চোট ও বাধায় জর্জর একটি দলকে অভাবনীয় ভাবে তুলে নিলেন শিরোপা লড়াইয়ের মঞ্চে।
চোটের কারণে এই ম্যাচেও বোলিং করেননি কুমিল্লা অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কাধের চোটের কারণে নেই দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র নুয়ান কুলাসেকেরাও। আগের ম্যাচগুলোর মত তবু ঠিকই পথ বের করে নিয়েছে কুমিল্লা। দারুণ বোলিং করেছেন প্রায় সবাই।
দুই অফ স্পিনার শোয়েব মালিক ও শুভাগত হোমকে দিয়ে বোলিং শুরু করিয়ে বরিশালের দুই আক্রমণাত্মক ওপেনারকে বেধে ফেলে বরিশাল। আগের ম্যাচে একটি ছক্কা মেরেই আউট হওয়া গেইল এই ম্যাচে পেরেছেন কেবল একটি চার মারতে। মালিকের সোজা এক বলে হয়েছেন এলবিডব্লিউ (১১ বলে ৮)।
দ্বিতীয় ওভারে শুভাগতকে টানা দুই বলে চার-ছক্কা মেরেছিলেন লুইস। কিন্তু বাকি সময়টা হাঁসফাঁস করেছেন টাইমিং খুঁজে পেতে। শেষ পর্যন্ত আউট হয়েছেন ড্যারেন স্টিভেন্সকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে (২৩ বলে ১৫)।
মেহেদি মারুফ (০) বোল্ড হন আসার জাইদির দারুণ এক ডেলিভারিতে। বেশ কিছুক্ষণ উইকেটে থাকা রনি তালুকদারও শেষ পর্যন্ত উইকেটে দিয়ে এসেছেন জাইদিকে (২৩ বলে ১৯)।
ধুঁকতে ধুঁকতে ১৪তম ওভারে পঞ্চাশ ছুঁতে পারে বরিশাল। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এরপর চেষ্টা করেছেন ইনিংসটাকে একটু গতিময় করার। দুটি চার মেরেছেন আবু হায়দারের এক ওভারে। চোট কাটিয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা কামরুল ইসলাম রাব্বির প্রথম ওভার থেকেও এসেছে দুটি বাউন্ডারি।
পঞ্চম উইকেটে ৩৮ বলে ৪৩ রানের জুটি গড়ে তোলেন মাহমুদউল্লাহ ও সাব্বির। ২৬ রান করে মাহমুদউল্লাহ আউট হয়েছেন আবু হায়দারকে স্লগ করতে হিয়ে। কামরুলের দারুল এক স্লোয়ারে বিভ্রান্ত হয়েছেন সাব্বির (১৭)।
শেষ দিকে সিকুগে প্রসন্ন (১০ বলে ১৫*) বরিশালের রানকে নিয়ে গেছেন একশর ওপারে।
৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন জাইদি। টুর্নামেন্টে প্রথমবার বল হাতে নিয়ে ৪ ওভারে ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট স্টিভেন্সের। ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ১ উইকেট মালিকের, ১টি নিয়েছেন আবু হায়দারও।