বরিশালে ছাত্রলীগ সভাপতির কর্মীদের ওপর হামলা

খান মাইনউদ্দিন, বরিশাল : বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি জসীম উদ্দিনের অনুসারী ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টায় নগরের বরিশাল ক্লাবের সামনের সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগের ৩ কর্মী আহত হয়েছে এবং ৪ টি মটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে।

প্রতিবাদে নগরীর আমতলার মোড়ে সড়ক আটকে জসীম উদ্দিনের অনুসারীরা বিক্ষোভ করে এবং মহানগর আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের পোষ্টার ছিড়ে ফেলে। পরে পুলিশের দেয়া হামলাকারীদের আটকের আশ্বাসে বিক্ষোভ কর্মসূচী তুলে নেয়া হয় বলে জানিয়েছেন জসীমের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা কানন।

এদিকে আহত ছাত্রলীগের কর্মী ও জসিম উদ্দিনের অনুসারী নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. মোশারেফ সিকদারের ছেলে আরিফুর রহমান ইয়াদ (২৭), একই ওয়ার্ডে বাসিন্দা মাহাবুব আলম সানি (২৫) ও ২৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী আকবর খানের ছেলে ফয়সাল হোসেন খান (২৪) কে বরিশাল-শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

new-image11

প্রত্যক্ষদর্শী এবং আহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফুর রহমান ইয়াদ বলেন, রাতে মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বরিশাল ক্লাবে যান। এজন্য তার অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ক্লাবের সামনে মোটর সাইকেল নিয়ে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে ১০/১৫টি মোটর সাইকেলে আশা মুখশধারী একদল দূর্বৃত্ত তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তাদের হাতে থাকা হকিষ্টিকের আঘাতে তিনি সহ ৩ জন গুরুতর আহত হন।

এদিকে ঘটনার পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ছাত্রলীগের মহানগর সভাপতি জসিম উদ্দিন অনুসারী ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা সাগরদী আমতলার মোড় এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। তিন রাস্তার মোড়ে নেতা-কর্মীরা অবস্থান নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার এবং বিচার দাবী জানিয়ে শ্লোগান দেয়। এসময় মহানগর আওয়ামীলীগ যুগ্ম সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র ছবি, ব্যানার, পোষ্টার ভাংচুর এবং ছিড়ে ফেলে। খবর পেয়ে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ বরিশাল মহানগর শাখার সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমি ব্যক্তিগত কাজে বরিশাল ক্লাবে গিয়েছিলাম। এসময় আমার নেতা-কর্মীরা বাইরে অবস্থান করছিলো। ঠিক সেই মুহুর্তে একদল সন্ত্রাসী এসে ওদের উপর মামলা চালায়। হামলার সময় আমাকে উদ্দেশ্য করে কর্মীদের বরিশাল ছেড়ে যেতে বলা হয়। এই ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবেন বলেও জানিয়েছেন জসিম উদ্দিন।

ঘটনার পর পরই কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মোহাম্মদ আওলাদ হোসেন এবং পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান সহ পুলিশের একাধিক টিম ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে আহতদের দেখতে যান। ওসি জানান, কারা হামলা করেছে সে সম্পর্কে আহতরা এখনো কিছু বলতে পারেনি। থানায় মামলা বা অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Print Friendly

Related Posts