বিডি মেট্রোনিউজ || অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় এবার পাস করেছে ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। জেএসসি-জেডিসি মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৩ জন। এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ৯২ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৯২ দশমিক ৪৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে জেএসসি-জেডিসির ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। এর আগে সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলের অনুলিপি তুলে দেন তিনি। শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা সেসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
গত বছর আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ৮৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৯৩ দশমিক ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করে। সব মিলিয়ে পাসের হার ছিল ৯০.৪১%। গতবার জেএসসি-জেডিসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ২৩৫ জন। এবার জেএসসিতে পাসের হার বাড়লেও জেডিসিতে কমেছে। তবে গড় হিসাবে পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমার কারণ বের করা হবে। তিনি বলেন, “মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় যে অনিয়মের অভিযোগ ছিল তাতে আমরা জোর দিয়েছি। পাসের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমার এটাও একটা কারণ হতে পারে।”
গত ১ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় ২২ লাখ ৭২ হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়; পাস করেছে ২০ লাখ ৯৮ হাজার ৮২ জন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৭৮ হাজার ৪৪৯ জন ছাত্র এবং ১১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৩ জন ছাত্রী। জেএসসিতে এবার রাজশাহী বোর্ডে সবচেয়ে বেশি ৯৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এছাড়া ঢাকা বোর্ডে ৯০ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কুমিল্লায় ৯২ দশমিক ৫১ শতাংশ, যশোরে ৯৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৮৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, বরিশালে ৯৭ দশমিক ২৬ শতাংশ, সিলেটে ৯৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং দিনাজপুর বোর্ডে ৯১ দশমিক ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
বরাবরের মত এবারও মেয়েরা ভালো ফল করায় সন্তোষ জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মেয়েরা সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে, সমাজে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
ফল জানা যাচ্ছে মোবাইলে
যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে JSC/JDC লিখে স্পেস দিয়ে নিজ বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর লিখে স্পেস দিয়ে রোল নম্বর লিখে স্পেস দিয়ে ২০১৫ লিখে এসএমএস করলে ফিরতি এসএমএসে ফল জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া শিক্ষাবোর্ডগুলোর ওয়েবসাইট (www.educationboardresults.gov.bd) এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকেও জেএসসি-জেডিসির ফল জানা যাচ্ছে।