কলকাতাতেই খেলবেন সাকিব আল হাসান

বিডি মেট্রোনিউজ ||  কলকাতা নাইট রাইডার্স আগামী মৌসুমের আইপিএলের জন্য আবারও সাকিব আল হাসানকে দলে রেখে দিয়েছে। আগামী ফেব্রুয়ারিতে হবে এবারের আইপিএলের নিলাম। ফ্র্যাঞ্চাইজি গুলোর দল গুছিয়ে নেওয়ার শেষ দিনে ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজি মিলে মোট ১০১ জন খেলোয়াড়কে দলে রেখে দিয়েছে, আর ছেড়ে দিয়েছে ৬১ জনকে।

ছেড়ে দেওয়ার তালিকায় আছে ডেল স্টেইন, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, যুবরাজ সিং, কেভিন পিটারসেনসহ অনেক বড় নাম। তবে এঁদের মধ্যে যুবরাজ আর ম্যাথুসের বিষয়টা একটু ভিন্ন। গতবারের নিলামে ভারতীয় ও বিদেশি দুই কোটায় সবচেয়ে দামি দুই খেলোয়াড় ছিলেন দিল্লির এই দুই খেলোয়াড়। অথচ এক মৌসুম পরই কিনা নতুন দলের খোঁজে নামতে হচ্ছে তাদের। এই দুজনকে ছেড়ে দিয়ে এবার অন্য কাউকে নিলাম থেকে টেনে নেবে দিল্লি।

সাকিবকে নিয়ে এমন খেলায় নামতেই চায়নি কলকাতা। গতবারের পারফরম্যান্স হয়তো অতটা ভালো হয়নি, কিন্তু সাকিব দলে থাকা মানেই তো একটা নির্ভরতা। বল হাতে উইকেট নেওয়া, রান কমানোর ক্ষেত্রে সাকিবের হাতে বল তুলে দিয়ে কিছুটা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন অধিনায়ক। আর কোনো দিন যদি বোলিংটা ভালো না হয়, সে ক্ষেত্রে ক্ষতিটা পুষিয়ে দেওয়ার জন্য ব্যাটিং তো আছেই। এমন একজনকে কেন হাতছাড়া করতে চাইবে কলকাতা।

২০১১ আইপিএলে শাহরুখ খানের ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রথম কিনে নিয়েছিল সাকিবকে। সাধারণত চুক্তি ৩ বছরের হয়, এসময়ের মধ্যে দল না ছাড়লে ওই দলেই থাকেন একজন খেলোয়াড়। চুক্তির পুরো সময়টা সাকিবকে রেখে দিয়েছিল কলকাতা। ২০১৪ সালে চুক্তির মেয়াদ শেষে ছেড়ে দিয়ে দিল্লির সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতার পর আবারও ২ কোটি ৮০ লাখ রুপিতে বাংলাদেশি অলরাউন্ডারকে কিনে নিয়েছিল দুবারের আইপিএল জয়ী দলটি।

২০১১ সালে সাকিব কলকাতায় যোগ দেওয়ার আগের তিন মৌসুমে আইপিএলে কলকাতার পারফরম্যান্স ছিল এমন – ৮ দলের টুর্নামেন্টে দুইবার ষষ্ঠ, অন্যবার সবার শেষে। আর সাকিব যোগ দেওয়ার পর ৫ মৌসুমে দুবার চ্যাম্পিয়ন, আর একবার খেলেছে সেমিফাইনাল।
আইপিএলে এই পর্যন্ত ৫ মৌসুমে ৩২ ম্যাচ খেলেছেন সাকিব। তাতে মূলত পাঁচ-ছয়ে নেমে ২১.২৮ গড়ে ৩৮৩ রান, আর বল হাতে ৩৮ উইকেট – সাকিবকে রেখে দেওয়ার কারণটা এই তথ্য থেকেই বুঝে নিতে পারেন।

সূত্র: আইপিএল, ক্রিকইনফো

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts