জঙ্গির দেহ থেকে গ্রেনেড খুলতেই বিপর্যয়

বিডি মেট্রোনিউজ || পাঠানকোটে বিমান ঘাঁটিতে জঙ্গিদের নিকেশ করতে গিয়ে প্রথমদিন নিহত হয়েছিলেন তিন জওয়ান। জখম হন তিন জন। পরদিন হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাদের। এরই মধ্যে আবার  ওই ঘাঁটিতে তল্লাশি চালানোর সময়ে গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হন আরও চার জওয়ান। এদের মধ্যে ছিলেন এনএসজি-র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিরঞ্জন কুমার। পরে মারা যান তিনিও। সব মিলে নিহত জওয়ানদের সংখ্যা ৭।

কেরলের বাসিন্দা ৩৫ বছরের কর্নেল নিরঞ্জন বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডের সদস্য ছিলেন। প্রথমদিন রাতে বিমান ঘাঁটিতে তল্লাশি অভিযানের সময়ে নিহত এক জঙ্গির দেহে বাঁধা গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করতে গিয়ে বিপর্যয় ঘটে। বিস্ফোরণে নিরঞ্জন-সহ আহত হন ৫ জন।

নিরঞ্জনের স্ত্রী ও দু’বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। শহিদ এই কর্নেলের কাকা হরিকৃষ্ণন জানান, ‘‘অক্টোবরে শেষ কথা হয়েছিল ওর সঙ্গে। প্রোমোশনের খবর দিয়েছিল। খুব খুশি ছিল। হোয়াট্সঅ্যাপে মেয়ের ছবি পাঠাত।’’ কর্নেলের দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বেঙ্গালুরুতে। ওখানেই তাঁর পরিবারের বাস।

প্রথমদিন নিহত হন যে তিন জওয়ান, তাদের মধ্যে ছিলেন গরুড় কম্যান্ডো গুরসেবক সিংহ। অম্বালার বাসিন্দা এই জওয়ানের বিয়ে হয়েছিল গত মাসেই। কাল প্রথম দফার গুলির আঘাতেই জখম হন গুরসেবক। আঘাত লাগার পরেও লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু যত ক্ষণে মেডিক্যাল সাহায্য এসে পৌঁছয়, তার আগেই প্রাণ হারান এই জওয়ান। অম্বালায় গুরসেবকের পরিবার তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকাহত। ছেলে শহিদ হওয়ায় তাঁর বাবা গর্বিত।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts