মুক্তামনির জন্য জরুরীভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সকালে অস্ত্রোপচারের পর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছিল শিশু মুক্তামনির। রক্তক্ষরণ বন্ধে তাকে ফের অপারেশন টেবিলে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তামনির চাচাতো ভাই তরিকুল ইসলাম।

চিকিৎসরা জানিয়েছেন, মুক্তামনির জন্য প্রচুর এ পজেটিভ রক্তের প্রয়োজন। তাই রক্ত দিতে ইচ্ছুকদের প্রস্তুত রাখতে বলেছেন তারা।

মুক্তামনির রক্ত সংগ্রহের তদারকি করা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক শাহনাজ করিম বলেন, চারজন মানুষের চার ব্যাগ রক্ত থেকে এক ব্যাগ প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়। তাই অনেক রক্তদাতা দরকার যাতে অনেক প্লাটিলেট পাওয়া যায়। তার বায়োপসি নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

মুক্তামনির অস্ত্রোপচারে অংশ নিয়েছিলেন বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের প্লাস্টিক সার্জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেশিয়া বিভাগের বিশেষজ্ঞ।

এছাড়া বিশেষজ্ঞ টিমে ছিলেন রয়েছেন বার্ন ইউনিটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন, বার্ন ইউনিটের বর্তমান পরিচালক আবুল কালাম আজাদসহ বিশেষজ্ঞরা।

সাতক্ষীরার মেয়ে মুক্তামনির দেহে জন্মের দেড় বছর পর একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর সেটি গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে বড় হতে হতে ডান হাত শরীরের চেয়ে ভারী হয়ে উঠেছে। তার এই বিরল রোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়া হয়।

১১ জুলাই সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার দায়িত্ব নেন।

পরের দিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর দেখা গেছে লিমফেটিক ম্যালফরমেশন রোগে ভুগছে মুক্তামনি। এটি একটি জন্মগত রোগ।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts