অত্যাধিক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া খুবই ক্ষতিকারক

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ বিকেলে চায়ের সঙ্গে বা নরম পানীয়ের সঙ্গে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খান বেশ মানানসই। বাড়িতে বানানোই হোক বা রেস্তোরাঁতে অর্ডার করাই হোক, সুস্বাদু এই খাবারের থেকে নজর ফেরানো বেশ কঠিন।

সম্প্রতি ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনের আমেরিকান জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, নিয়মিতভাবে অতিরিক্ত মাত্রায় এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া শরীরের পক্ষে মোটেই ভালো নয়। এটি মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খুব বেশি স্বাস্থ্যকর খাবার নয় সকলেই জানি। কিন্তু নতুন গবেষণা আনেদের চিন্তাকে আরেকটু বাড়িয়ে দিল। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের মতো খাবার হাই ফ্যাট এবং রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবন সংকটও বাড়িয়ে দেয়।

উত্তর আমেরিকার প্রায় ৪,৪০০ জন মানুষ যারা ৪৫ থেকে ৭৯ বছর বয়সি তাদের ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। এই সমীক্ষা চলাকালীন ২৩৬ জন মারা যান। বিশেষজ্ঞরা জানান, রেস্তোরাঁ অথবা বাড়িতে বানানো যে কোনো অবস্থাতেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সপ্তাহে দুবারের বেশি খান তাদের জীবনের আশঙ্কা যাঁরা আলু সেদ্ধ বা গ্রিল করে খান, তাঁদের চেয়ে অনেক বেশি।

তবে আলু যে মৃত্যুর সম্ভাবনা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয় সেই ধারণা একদম ভুল। আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এতে কোনও ফ্যাট, সোডিয়াম, কোলেস্টারোল নেই। আলুকে রান্না করার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করছে মর্টালিটি রেট।

তবে কত পরিমাণের এবং কী ধরণের তেল ব্যবহার করা হচ্ছে তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে আলু শরীরের পক্ষে কতটা পরিমাণ ক্ষতিকারক। আগের কিছু স্টাডি অনুযায়ী, এসব খাবারগুলো যেহেতু প্রচুর তাপমাত্রায় রান্না করা হয়, রান্না করার সময় অ্যাক্রিল্যামাইড নামে এক রাসায়নিক উত্পন্ন হয়। যা ক্যানসারের সম্ভাবনা অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। তবে অত্যাধিক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া থেকে একটু বিরত থাকাই ভালো। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং রিফাইনড কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকারক।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts