ভোলায় এনজিও কর্মকর্তার হাত-পা বাঁধা লাশ

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নিখোঁজের তিন দিন পর ভোলায় বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক কর্মকর্তার হাত-পা বাঁধা লাশ পাওয়া গেছে। রোববার ভোলা ও বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সীমানায় খাল থেকে মাইনুল হোসেনের (৪০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

মাইনুল হোসেন ভোলা সদরের বাঘারহাট শাখার ইনচার্জ ছিলেন বলে ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নিখোঁজ হন।

মাইনুলের স্ত্রী রুনু বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ভোলা সদরের পশ্চিম ইলিশা তালুকদার বাজারের বাসা থেকে মাইনুল বের হন কর্মস্থল নিকটবর্তী বাঘারহাটের উদ্দেশে। রুনু বলেন, ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে মাইনুল ফোন করে তার (স্ত্রী) কাছে সন্তানের খোঁজ-খবর নেন। এরপর তা সঙ্গে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভোলা সদর মডেল মাইনুলের স্ত্রী রুনু বেগম বাদী হয়ে বিল্লাল, কামাল, ওলিউল্লাহসহ আরও কয়েকজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগে আসামিদের মধ্যে বিল্লাল (২৮) ও ওলিউল্লাহকে (৪০) আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

ভোলা সদর মডেল থানার ওসি মীর খায়রুল কবীর জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোলা-মেহেন্দিগঞ্জ সীমানায় লাশ দেখে এলাকাবাসী জানালে পুলিশ হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করে। পরে মাইনুলের স্বজনদেরকে ডেকে তার লাশ শনাক্ত করা হয়। ওসি বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর  হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মাইনুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বলেন ওসি।

মাইনুল হোসেন ঝালকাঠীর কাঁঠালিয়া উপজেলার দত্তরপশর বুনিয়া গ্রামের আব্দুল হক জমাদ্দারের ছেলে। তার লাবণী ও লামিয়া দুই মেয়ে রয়েছে । তার মা-বাবা থাকেন কাঠালিয়ায় গ্রামের বাড়িতে।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts