দেশে ১২.৫০% নবজাতকের জন্মই অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ রাজধানীতে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, দেশে সাড়ে বারো শতাংশ নবজাতকই অন্ধত্বের ঝুঁকি নিয়ে জন্ম গ্রহণ করে। রেটিনোপ্যাথি অব প্রিম্যাচুরিটিতে (আরওপি) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কারণেই এসব শিশু অন্ধত্বের ঝুঁকিতে থাকে।

বুধবার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ইডবিউএমজিএল’র সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে শিশু অন্ধত্ব প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।

কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্টের সহযোগিতায় ডেইলি সান ও অরবিস ইন্টারন্যাশনাল এ গোলটেবিলের আয়োজন করে।

বাংলাদেশে প্রতিবছর ৩১ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এসব নবজাতকের মধ্যে প্রায় ৪ লাখের জন্ম হয় অপরিপক্ক অবস্থায়। এ কারণে এসব শিশুর আরওপিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা অন্ধত্বের অন্যতম কারণ। জন্মের এক মাসের মধ্যে চোখের পরীক্ষা করালেই কেবল এ সমস্যা ধরা পড়ে বলে বিশেষঞ্জরা উল্লেখ করেন।

childhood-blindness-1

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক এএইচএম এনায়েত হোসেন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্রধান ও ন্যাশনাল আই কেয়ারের পরিচালক অধ্যাপক গোলাম মুস্তফা এবং চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

ইংরেজী পত্রিকা ডেইলি সানের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর মনির আহমেদ।

অরবিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মোহাম্মদ আলাউদ্দিন জানান, যেসব শিশু ২ দশমিক ৭৫ পাউন্ডের কম ওজন নিয়ে এবং গর্ভে আসার ৩১ সপ্তাহের মধ্যে জন্ম গ্রহণ করে তারাই আরওপিতে আক্রান্ত হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, আরওপি-তে আক্রান্ত শিশুর দুটি চোখই নষ্ট হয়ে যায়। বিশ্বজুড়ে এটিই শিশু-অন্ধত্বের বড় কারণ।

পরিসংখ্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, বাংলাদেশে এখন ৪০ হাজার শিশুসহ মোট ৭ লাখ অন্ধ ব্যক্তি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সুযোগ সুবিধার উন্নতি হয়েছে, তবে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অনেক অভাব রয়েছে। বর্তমানে দেশে মাত্র ১ হাজার চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আছেন, যা ১৬ কোটি মানুষের জন্য খুবই অপ্রতুল।’

ডেইলি সানের নির্বাহী সম্পাদক শিয়াবুর রহমান, ইস্পাহানি ইসলামিয়া আই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের উপদেষ্টা নাফিসেহ ইস্পাহানি প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts