বিডি মেট্রোনিউজ ॥ নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের চার দিনব্যাপী কর্মসূচি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সমাপনী দিনে মহাসমারোহে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালামনাই ডে মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল দশটায় বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ চত্বরে এ মিলন মেলা উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য বলেন, এ্যালামনাই ডে মিলন মেলায় সকলেই প্রাণের তাগিদে উপস্থিত হন। তিনি এ্যালামনাসদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। উপাচার্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বে মর্যাদাশীল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে এ্যালামনাসদের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় ব্যাচের ছাত্র অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির তার বক্তব্যে বলেন, এ্যালামনাই গঠন এবং এ্যালামনাসদের উপস্থিতি দেখে তিনি যারপরনাই আনন্দিত।
তিনি বলেন, এ্যালামনাই গঠনের তিনি যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা এখন বাস্তবে রূপ লাভ করেছে। এ্যালামনাসগণ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রায় অবদান রাখবে। অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাসদের সঙ্গে যেমন মিশে আছে, তেমনিভাবে এ্যালামনাসদের সঙ্গেও এ বিশ্ববিদ্যালয় মিশে আছে। এ বন্ধন অনন্তকাল বজায় থাকবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু বকর সিদ্দিক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আহবায়ক অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবির। প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।
এ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য সচিবের পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবুল হোসেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ ব্যাচের ছাত্র ও বর্তমানে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন, প্রথম ব্যাচের ছাত্র ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রফিকউল্লা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধানা প্রদান শেষে স্মৃতিচারণ, ফানুস উড়ানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনা এবং র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।