বিডি মেট্রোনিউজ, মেহেরপুর ॥ মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মোবাইল ফোনের জন্য কোমল পানীয়র সঙ্গে বিষাক্ত তরল পদার্থ পান করিয়ে আল আমিন (১৬) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এদিকে বরগুনার পাথরঘাটায় বায়জিদ হোসেন নামের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার মানববন্ধন হয়েছে।
আল আমিন গাংনী পৌরসভার চৌগাছা পশ্চিমপাড়া এলাকার আসমত আলীর ছেলে এবং চৌগাছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
আল আমিনের পরিবার ও গাংনী থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার দুপুরে আসমত আলীর খালাতো ভাই সাগর হোসেন (১৯) মুঠোফোনে আল আমিনকে ডেকে নেন। গাংনী পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে নিয়ে আল আমিনকে কৌশলে কোমল পানীয়র সঙ্গে বিষাক্ত তরল পদার্থ পান করান সাগর। আল আমিন অচেতন হলে তার কাছে থাকা একটি অ্যান্ড্রয়েড ও একটি নকিয়া মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান সাগর।
পরে আল আমিনকে তার বন্ধুরা মুমূর্ষু অবস্থায় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার পর থেকে সাগর পলাতক রয়েছেন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আল আমিনের বাবা আসমত বলেন, প্রাণনাশকারী কোনো তরল পদার্থ পানের কারণেই আল আমিনের কিডনি অকেজো হয়ে পড়ে। এতে তার মৃত্যু হয়। গাংনী থানার ওসি আকরাম হোসেন গতকাল বিকেল চারটার দিকে বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি।