বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নিজের প্রথম ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) মাঠে নেমেই মুস্তাফিজুর রহমান পেয়েছিলেন শিরোপার স্বাদ। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে ২০১৫ সালে দারুণ সাফল্য পেলেও পরের বছর অবশ্য একটি মাত্র ম্যাচে মাঠে নামতে পেরেছিলেন। সেসব পেছনে ফেলে এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের হয়ে আইপিএলের ১১তম আসরে নতুন একটা শুরু করতে যাচ্ছেন মুস্তাফিজ।
আইপিএলের নবম আসরে ১৬ ম্যাচে মাঠে নেমে উইকেট নিয়েছিলেন ১৭টি। সেরা বোলিং ছিল ১৬ রান দিয়ে তিন উইকেট। তবে সবচেয়ে দারুণ নৈপুণ্যটা বোধহয় দেখিয়েছিলেন কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষের ম্যাচে। চার ওভারে মাত্র নয় রান দিয়ে পাঞ্জাব ব্যাটসম্যানদের নাচিয়ে নিয়েছিলেন দুই উইকেট। সে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিতে তাই নির্বাচকদের আর তেমন কোন কষ্টই হয়নি।
হায়দরাবাদের প্রথম শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে মুস্তাফিজেরও দারুণ অবদান যে ছিল সেটা সে আসরের সেরা তরুণ ক্রিকেটারের পুরস্কার হাতে পেয়ে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। অবশ্য চোটে পড়ে সেবার ক্রিকেটেই ফিরেছিলেন অনেকদিন পর। খানিকটা অফ ফর্মে চলে যাওয়া মুস্তাফিজ ২০১৭ আইপিএলে দিতে পারেননি সেরাটা। এক ম্যাচ মাঠে নেমে মাত্র ২.৪ ওভার বল করেছিলেন, রান দিয়েছিলেন ৩৪! পরের আর কোনো ম্যাচে তাই জায়গাই হয়নি কাটার মাস্টারের।
২০১৮ আইপিএল নিলামে সানরাইজার্স ছেড়ে দিয়েছিল মুস্তাফিজকে। আর সে সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। ২ কোটি ২০ লাখ রুপিতে বাঁহাতি পেসারকে কিনে নেয় আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। জশপ্রীত বুমরাহ আর প্যাট কামিন্সের সঙ্গে বল হাতে মুস্তাফিজও দৌড়াবেন মুম্বাইয়ের জার্সিতে।
মজার ব্যাপার, নিজের বিষে সবচেয়ে বেশিবার নীল করেছেন যেই রোহিত শর্মাকে তিনিই মুম্বাই দলে দেবেন নেতৃত্ব মুস্তাফিজকে। নয়বারের মুকাবেলায় পাঁচবারই কাটার মাস্টারের শিকার হওয়া রোহিতের সবচেয়ে বেশি জানার কথা ‘দ্য ফিজ’কে। সে জানেন রোহিত। আর তাই গণমাধ্যম কিংবা মুম্বাইয়ের ফেসবুক পেজ সবখানেই জানিয়েছেন দলে মুস্তাফিজকে পেয়ে তিনি দারুণ খুশি।
বদলেছে মুস্তাফিজের আইপিএল ভেন্যু, হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী স্টেডিয়াম থেকে এসেছেন মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়েতে। কমলা রঙ পাল্টে নামবেন নীলরঙা জার্সিতে। দল, জার্সি বা ভেন্যু সব পাল্টে গেলেও মুস্তাফিজ বাইশ গজে ব্যাটসম্যানদের নিজের আগুনে পোড়ানোর লক্ষ্যটা যে বদলাচ্ছেন না সেটা নিশ্চিত।