গ্রাহক আকর্ষণের কেন্দ্রে আয়োনাইজার ও ইনভার্টার প্রযুক্তির স্মার্ট এসি
নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশে তৈরি ওয়ালটনের এয়ার কন্ডিশনার বা এসি গত কয়েক বছর ধরে গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে। নিজস্ব কারখানায় নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ওয়ালটন বাজারে নিয়ে আসছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির স্মার্ট এসি। ব্যাপক গ্রাহক চাহিদার প্রেক্ষিতে ওয়ালটন এবার বাজারে আনলো ক্যাসেট টাইপ এসি। বিভিন্ন কর্মাশিয়াল স্পেস যেমন হোটেল, রেষ্টুরেন্ট, হাসপাতালসহ শিল্প-কারখানায় ক্যাসেট টাইপ এসির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
সূত্রমতে, চলতি বছর দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের এসি বিক্রি বেড়েছে ব্যাপক। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (জানুয়ারি থেকে জুন) গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ শতাংশ বেশি এসি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।
বিক্রেতাদের মতে, এসি বিক্রির এই প্রবৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে ওয়ালটনের আয়োনাইজার, ইনভার্টার, স্মার্ট ও ফোর-ডি কুলিং এর মত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন মডেলের এসি। বিক্রেতারা জানান, বাজারে নতুন আসা ওয়ালটনের ৪২,০০০ বিটিইউ (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) ও ৫২,০০০ বিটিইউ সম্পন্ন ক্যাসেট টাইপ এসির দাম পড়ছে যথাক্রমে ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ও ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
জানা গেছে, গত রোজায় মোবাইল ফোনে নিয়ন্ত্রণযোগ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির ১.৫ টন ও ২ টনের নতুন মডেলের স্মার্ট এসি বাজারে ছেড়েছে দেশীয় প্রতিষ্ঠানটি। ওয়ালটনের এসিতে আয়োনাইজার প্রযুক্তি সংযোজনের ফলে রুমে বাতাস হবে ধূলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়ামুক্ত। আবার আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) সংযোজনের ফলে গ্রাহক মোবাইল ফোনের অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে বসে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন ওয়ালটন এসি। ওয়ালটন এসিতে ফোর-ডি কুলিং প্রযুক্তি সংযোজন করায় রুম ঠান্ডা হয় দ্রুত। মূলত, এসব বিশেষ দিকগুলোর ফলে ওয়ালটন এসির গ্রাহকপ্রিয়তা ব্যাপকহারে বেড়েছে।
জানা গেছে, আসন্ন কোরবানি ঈদ উপলক্ষ্যে সারা দেশে মেগা ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ঘোষণা দিয়েছে ওয়ালটন। এর আওতায় দেশের যে কোনো ওয়ালটন প্লাজা বা পরিবেশক শোরুম থেকে এসি কিনে রেজিস্ট্রেশন করলেই ক্রেতারা পেতে পারেন ব্র্যান্ড নিউ কার। পেতে পারেন ফ্রিজ, টেলিভিশন ও এসি ফ্রি অথবা নিশ্চিত ক্যাশব্যাক। আর এসব সুবিধা মিলবে আগামি কোরবানি ঈদ পর্যন্ত।
ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানায়, স্বাস্থ্যকর বাতাস প্রবাহ, তুলনামূলক কম বিদ্যুৎ খরচ, সঠিক বিটিইউ’র (ব্রিটিশ থারমাল ইউনিট) নিশ্চয়তা, উচ্চ গুণগতমান বজায়, ছয় মাসের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টিসহ কম্প্রেসারে আট বছর পর্যন্ত গ্যারান্টি সুবিধা, ৩ বছরের ফ্রি বিক্রয়োত্তর সুবিধা, ফ্রি ইন্সটলেশন সুবিধা, ৩৬ মাসের সহজ কিস্তি সুবিধা, দেশব্যাপী বিস্তৃত সেলস ও সার্ভিস পয়েন্ট এবং সর্বোপরি দেশের আবহাওয়া উপযোগি এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করায় স্থানীয় বাজারে অতি দ্রুত গ্রাহকপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে এসেছে ওয়ালটন এসি।
ওয়ালটন এসির সেলস বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশের আবহাওয়া উপযোগি অসংখ্য মডেলের এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এর মধ্যে ইনভার্টার প্রযুক্তির ১৮ হাজার বিটিইউ (দেড় টন) ও ২৪ হাজার বিটিইউ (দুই টন) ওয়ালটন স্মার্ট এসির দাম পড়ছে যথাক্রমে ৬৫ হাজার ও ৭৮ হাজার টাকা। শুধুমাত্র ইনভার্টার প্রযুক্তির দেড় টন ও দুই টন এসির দাম যথাক্রমে ৬৩ হাজার ৫’শ টাকা ও ৭৬ হাজার ৫’শ টাকা। আবার আয়োনাইজার প্রযুক্তির দেড় ও দুই টনের এসি পাওয়া যাচ্ছে যথাক্রমে ৪৯ হাজার ৯’শ ও ৫৬ হাজার ৯’শ টাকায়। ১৭,২০০ বিটিইউ ওয়ালটন এসি মিলছে ৪৫ হাজার ৯’শ টাকায়। আর ১২০০০ (এক টন) বিটিইউ’র ওয়ালটন এসি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ হাজার ৯’শ টাকায়।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার প্রকৌশলী ইসহাক রনি জানান, স্থানীয় বাজারে যেকোনো ব্র্যান্ডের চেয়ে উচ্চ গুণগতমানের ও সঠিক বিটিইউ’র এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। একের পর এক বিশ্বের অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তির সংযোজন করা হচ্ছে। এসির কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। এতে করে ওয়ালটন এসি হচ্ছে টেকসই দীর্ঘস্থায়ী।
প্রকৌশলীরা জানান, ওয়ালটনের ইনভার্টার প্রযুক্তির এসির কম্প্রেসারে রয়েছে টার্বোমুড। যা রুমের তাপমাত্রা দ্রুত কমিয়ে এনে রুমকে তাড়াতাড়ি ঠান্ডা করে। এই প্রযুক্তিতে পিসিবি বা মাদারবোর্ডে স্থাপিত মাইক্রোপ্রসেসরের বিশেষ প্রোগ্রামিং এর মাধ্যমে রুমের তাপমাত্রা অনুযায়ী কম্প্রেসারের গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। অর্থাৎ রুমের তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি কম্প্রেসারের গতিও কমে আসে। ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর৪১০এ রেফ্রিজারেন্ট।
#