মোকাম্মেল হক মিলন, ভোলা ॥ প্রফেসর মোহাম্মদ রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজক কর্মী, সদালাপী ও সমাজহিতৌসী । ভোলার শিক্ষার প্রসারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনসহ সমাজ উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বর্তমানে ভোলার সিনিয়র সিটিজেন ক্লাবের সভাপতি, ভোলা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদের অন্যতম সদস্য, ভোলা টিলড্রেন প্রতিবন্ধী স্কুলের গর্ভনিং বডির সদস্য, নিজাম-হাসিনা চক্ষু হাসপাতালের সদস্য, চরনোয়াবাদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পশ্চিম চরনোয়াবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এবং চৌমহনি হাজী ইসমাইল ফরাজী জামে মসজিদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে অবসর জীবন-যাপন করে যাচ্ছেন।
এসব সমাজহিতৌসী শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ভোলার শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে পরামর্শ গ্রহণ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থী বিনির্মাণ করা সম্ভব বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
এছাড়া তিনি আলতাজের রহমান ডিগ্রী কলেজ, ভোলা রেসিডিয়ান্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ এবং ব্রাইট স্টার কিন্ডার গার্টেনের সাথে জড়িত রয়েছেন।
প্রফেসর রুহুল আমিন জাহাঙ্গীর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে প্রথমে ভোলা সরকারী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান এবং ভোলা কলেজের উপাধাক্ষ্য ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। তারপর বরিশাল বিএম কলেজের ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের প্রধান এবং ২০০৫ সালে সরকারী ফজিলতুন নেছা মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে অবসর জীবনে যান।
বর্তমানে তিনি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থেকে অবসর সময় কাটাচ্ছেন। দীর্ঘ শিক্ষকতা জীবনে জড়িত থাকার সময় তিনি প্রতিমন্ত্রী মরহুম মোশারেফ হোসেন শাজাহান ও সাবেক ভোলা পৌর চেয়ারম্যান গোলাম নবী আলমগীর এর অনুরোধে শিশু শিক্ষা প্রসারে সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এর অবৈতনিক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং শিশুদের শিক্ষা প্রসারে অনেক অগ্রগতি সাধন করেন। সেজন্য সাবেক জেলা প্রশাসকগণ ও পৌর প্রশাসন সরকারী পরিত্যাক্ত আর অনুদান দিনেয় সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন প্রতিষ্ঠায় বেশ সহযোগিতা করেছেন।
তিনি পশ্চিম চরনোয়াবাদ এলাকায় চরনোয়াবদ মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং চরনোয়াবাদ ইসলামীয়া আলিম মাদ্রাসা, আলতাজের রহমান ডিগ্রী কলেজ ও ওবায়দুল হক বাবুল মোল্লা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা করেছেন।
প্রফেসর রুহুল আমি জাহাঙ্গীর ভোলা সরকারী কলেজ জাতীয়করণ, অনার্স ও মাষ্টার্স কোট চালু এবং অনার্স কোর্সের সৃষ্ট পদগুলোতে শিক্ষক পেতে ব্যাপক অবদান রেখেছেন।
তাছাড়া তিনি সরকারী ফজিলতুন নেছা মহিলা কলেজের উন্নয়নে ও বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের সংবর্ধনা প্রদান করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন।