কড়াকড়ি ছিল উর্দু না বলার বিষয়ে। কিন্তু পাকিস্তানে এক সংবাদ সম্মেলনে উর্দু বলে ফেললেন সালমা খাতুন। আর যায় কই। এরপর থেকে শুরু হল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে সমালোচনা। এক লাইন উর্দু বলায় সালমা নানারকম সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হন। বুধবার পাকিস্তান সফর শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। সংবাদ সম্মেলনে সালমাকে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতে ভোলেননি সাংবাদিকরা।
সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে সালমা খাতুন বলেন, ‘সবাই বলছে আমি নাকি প্রেস কনফারেন্সে উর্দুতে কথা বলছি। আসলে তা না। আমি বাংলায় কথা বলেছি। ম্যানেজার ওদেরকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিয়েছেন। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একটা সময়ে ম্যানেজার সাথে ছিলেন না। তখন হয়তো আমি এক মিনিট উর্দুতে বলেছি। এ ছাড়া আমি কোথাও কিছু বলিনি। টসে হেরে যাবার পর কথাটা বলা হয়েছে।’
প্রথম ওয়ানডেতে জিততে জিততে হেরে যায় বাংলাদেশের মেয়েরা। তাই আক্ষেপ নিয়ে সালমা বলেন, ‘এজন্য আফসোস আছে। আমরা অনেকগুলো ম্যাচ এর আগেও খুব কাছে গিয়ে হেরে গেছি। এ জন্য সব সময়ই আফসোস হয়। টি-টোয়েন্টি বা ওয়ানডে মিলিয়ে রুমানা এবং শুকতারা ভালো খেলছে। এ ছাড়া আর কেউ ভালো খেলতে পারিনি। এমনকি আমিও পারফর্ম করতে পারিনি। পিংকি এবং লতাও যদি ভালো খেলতো তাহলেও হয়তো আমরা ভালো কিছু করতে পারতাম।’
পাকিস্তানে গিয়ে কোনো ভয় কাজ করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না না কোনো ভয় কাজ করেনি। এটা ভুল ধারণা। আমরা খেলতে গেছি, মাঠে গিয়ে কোনো কিছু চিন্তা করিনি। আমরা কেবল ক্রিকেট নিয়েই চিন্তা করেছি। অন্য কোনো কিছু নিয়ে আমাদের ভাবনা ছিলো না। কোনো রকম ভয় কাজ করেনি।’
পাকিস্তানে বাংলাদেশ দল পৌঁছানোর পর কেমন আতিথীয়তা দেওয়া হয়েছিল। জানতে চাইলে সালমা খাতুন বলেন, ‘অনেক ভালো ছিলো। এয়ারপোর্টে এসে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আমাদেরকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেছে। ওখানে কোনো মিডিয়াও ছিলো না। মিডিয়া ছিলো এয়ারপোর্টের বাইরে। কিন্তু মিডিয়া আমাদের সাথে কোনো কথা বলতে পারেনি। আমরা এয়ারপোর্ট থেকে গাড়িতে উঠে সরাসরি ভেন্যুতে চলে গিয়েছি।’
নতুনদের বিষয়ে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বলেন, ‘নতুনদের পারফরম্যান্স ভালো ছিলো। তিনজনের অভিষেক হয়েছে। দুজনের পারফর্ম ভালো ছিলো। বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা ভালো খেলেছে। উইকেটরক্ষক জ্যোতি ভালো খেলেছে। আর শারমিন ছিল। ও একটা ম্যাচ পেয়েছে। তেমন ভালো করতে পারেনি। তবে ওরা তিনজনই খুব ভালো।’
অন্যান্যদের মতো সালমা খাতুন নিজেও নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। বিষয়টি অবশ্য অস্বীকার করেননি তিনি, ‘আমি বোলিং যা-ই করেছি। ব্যাটিংটা ভালো করতে পারিনি। ব্যাটিংটাই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছে। ব্যাটিং ভালো হলে আমরা আরো ভালো কিছু পেতে পারতাম।’
পাকিস্তানের উইকেটের বিষয়ে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলেন, ‘ওদের উইকেট ভালো। ঢাকার মতোই ব্যাটিং উইকেট। উইকেট নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। সব ভালোই ছিলো।’