অসিত রঞ্জন মজুমদার: ছাত্র জীবন থেকেই শিক্ষানুরাগী, সন্ধ্যার পর গ্রামের বাড়ি বাড়ি ঘুরে খোঁজ নিতেন ছোটদের শিক্ষার ব্যাপারে, তাদের দৈনন্দিন পড়াশোনার ব্যাপারে। নিজের কলেজে পড়াকালীণ সময়েই চিন্তিত হয়ে পড়েন- প্রাইমারি পড়া শেষে ছেলেদের পক্ষে পাঁচ/ছয় কিলোমিটার দূরের হাইস্কুলে পড়া কষ্টসাধ্য হলেও সাধ্য, কিন্তু সাত/আট কিলোমিটার দূরের গার্লস হাইস্কুলে গিয়ে পড়া মেয়েদের পক্ষে দুঃসাধ্য।
একজন গরীব কলেজ ছাত্রের পক্ষে একটা হাইস্কুল করা অকল্পনীয়ই বটে। তারপরও নিজের আত্মপ্রত্যয়ে ও নেতৃত্বের গুণে এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন, আর স্থাপন করেছিলেন অনন্য এক উদাহরণ। ১৯৭২ সালে সনমান্দী গ্রামে স্থাপন করেছিলেন একটি হাইস্কুল। এই স্কুলটির নাম সনমান্দী উচ্চ বিদ্যালয় বা সনমান্দী হাইস্কুল। আর তিনিই হচ্ছেন গোবিন্দ চন্দ্র বাড়ৈ।
বুধবার (১২ই ডিসেম্বর ২০১৮) তার ৬৫তম জন্মদিন।
সনমান্দী গ্রামের বাঞ্ছারাম বাড়ৈ ও প্রিয়বালা বাড়ৈর প্রথম সন্তান গোবিন্দ চন্দ্র বাড়ৈ সমাজের মঙ্গলের জন্য যেমন নিবেদিতপ্রাণ, গড়েছেন বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, তেমনি নিবেদিত নিজের কর্মের প্রতিও। আর এর আশীর্বাদ নিয়েই আজও কাজ করে যাচ্ছেন এভিয়েশন সেক্টরে। পাশাপাশি বিচরণ করছেন সাহিত্যের জগতেও।