বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ গত ১ ও ২ ফেব্রুয়ারি দুইদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো চিটাগং শর্ট আয়োজিত চতুর্থ চিটাগাং শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯ এ বাংলাদেশসহ মোট সাতটি দেশের জমা পড়া শতাধিক চলচ্চিত্র থেকে নির্বাচিত মোট একুশটি চলচ্চিত্র অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের পৃষ্ঠপোষকতায় অংশ নেয়া জাহাঙ্গীরনগর সিনে সোসাইটির প্রযোজনা “অর্ঘ্য” চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের ৫ টি ক্যাটাগরির মধ্যে তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করে।
অর্ঘ্য চলচ্চিত্রের শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন দর্শন বিভাগের ৪৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক দাস। শ্রেষ্ঠ পরিচালক শাখায় দর্শন বিভাগের ৪৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রুদ্রনীল আহমেদ এবং দর্শকের বিচারে উৎসবের শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে চলচ্চিত্রটি।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মাধ্যমে পর্দা উঠে চতুর্থ চিটাগং শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ২০১৯ এর। প্রথমে লালগালিচা সংবর্ধনা প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পত্রিকা দৈনিক আজাদীর পরিচালনা সম্পাদক ওয়াহিদ মালেক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন চিটাগং শর্টের প্রেসিডেন্ট ইসমাইল চৌধুরী। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল, নাট্যজন প্রদীপ দেওয়ানজি, সানশাইন গ্রামার স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সাফিয়া গাজী রহমান, চিত্রনাট্যকার শাহজাহান শামীম এবং সামিট এলায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের সিনিয়র জিএম মোহাম্মদ মাহিনুল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওয়াহিদ মালেক বলেন, “ফ্যাক্টরিতে অর্ডার করে চলচ্চিত্রকার নির্মাণ করা যায় না, চলচ্চিত্রকার নির্মিত হয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেই।” বর্তমানে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে হাওয়া বদল শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, “যে দিন বদলের হাওয়া লেগেছে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে, তা ধরে রাখতে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের অবদান অনস্বীকার্য।”
চলচ্চিত্রটির পরিচালক রুদ্রনীল আহমেদ বলেন, “প্রথম পুরস্কার প্রাপ্তির অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না।তবে এই অর্জন আমাকে সিনেমা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে অনুপ্রেরণা যোগাবে”।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংগঠনের সভাপতি রিসান আহমেদ বলেন, “বিভিন্ন সময়ে সংগঠনের বিভিন্ন সিনেমা পুরস্কৃত হলেও একই সিনেমা থেকে তিনটি বিভাগে পুরস্কার অর্জন এবারই প্রথম। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাতাদের একটা শক্ত পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান ও সাধারন শিক্ষার্থিদের মধ্যে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা ছড়িয়ে দিতে আমাদের এই প্রয়াস অব্যাহত থাকবে”।
সূত্র : রণজিৎ দাস চৌহান, দপ্তর সম্পাদক- জাহাঙ্গীরনগর সিনে সোসাইটি(জেসিএস)