সংবাদ সম্মেলনের বাড়তি প্রশ্নই বাঁচিয়ে দিল বাংলাদেশকে

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ অনুশীলন শেষ করেই তড়িঘড়ি হাজির সংবাদ সম্মেলন কক্ষে। উদ্দেশ্য সাত তাড়াতাড়ি প্রশ্নোত্তোর পর্ব শেষ করেই জুমার নামাজ আদায়। হেগলি ওভালের পাশেই মসজিদ আল নূর। বরাবরের মত ক্রাইস্টচার্চে এলে এখানেই নামাজ আদায় করেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা। কিন্তু টানা হারের পোস্টমর্টেম যে এত তাড়াতাড়ি হবার নয়!

বাংলাদেশ থেকে নিউজিল্যান্ড যাওয়া সাংবাদিক তো বটেই, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাও প্রশ্নবানে জর্জর করেছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে সম্মেলনে আসা ক্রিকেটারকে। আর তাতেই অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছে গোটা দল!

এই সংবাদ সম্মেলন শেষ করেই মসজিদ আল নূরে যাওয়ার কথা ছিলো তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাইজুল ইসলামসহ দলের অন্যান্য সদস্যদের। তবে নামাজ শুরুর কিছুক্ষন আগেই সেই মসজিদে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা হয়।

এ নিয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিইও নিজামুদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ঘটনা শুনে আমরাও আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিলাম। বোর্ডের তরফ থেকে সার্বক্ষণিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমাদের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ এবং কর্মকতা-কর্মচারিসহ বাংলাদেশ থেকে সেখানে যাওয়া সাংবাদিকরাও নিরাপদে আছে।’

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে সুজন বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে হেগলি ওভাল মাঠের কাছেই অবস্থিত আল নূর মসজিদ। এখানেই নামাজ আদায় করেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। শুক্রবারও অনুশীলন শেষে সেখানেই জুমার নামাজ আদায়ে যাওয়ার কথা ছিলো ক্রিকেটারদের। নামাজ শুরুর ঠিক দুই মিনিট আগে কেউ একজন বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সতর্ক করে দেন যেন তারা সেখানে না যান। বন্দুকধারীরা সেখানে আক্রমণ করেছে। তখনই বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা টিম বাসে ঢুকে পড়েন এবং নিরাপদে ফিরে আসেন।’

Print Friendly

Related Posts