নৌপথের উন্নয়নে সহযোগিতা প্রদানের আহবান প্রধানমন্ত্রীর

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নদী ও খাল পুনঃখননের উদ্যোগ গ্রহণ করে নৌপথের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও নিজ নিজ অবস্থান থেকে সহযোগিতা প্রদানের আহবান জানিয়েছেন।

তিনি একইভাবে নদী পথে চলাচলকারী নৌযান মালিক, নৌযান চালকদেরকে নৌ চলাচল বিধি-বিধান মেনে চলাসহ যাত্রী সাধারণকেও সাবধানতা অবলম্বন করে নৌপথ ব্যবহারে অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে গতকাল এক বাণীতে এ আহবান জানান।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের নদীপথে চলাচলরত যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩০ মার্চ হতে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

নদীপথে ভ্রমণকারী যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা বিধানে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে আশা করে তিনি বলেন, যাত্রী নিরাপত্তা বিধানকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বর্তমান সরকার নৌপথের উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ করার পাশাপাশি নদী দূষণ রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন ও নদীর দু’পাড় অবৈধ দখলমুক্ত করার জন্য উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানে অঙ্গীকারবদ্ধ। বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শত শত নদ-নদী, বঙ্গোপসাগরের অবাধ জলরাশি এ দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের সিংহভাগই পরিবাহিত হয় নদীপথে। সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, অধিকতর নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী নৌপথে ভ্রমণ করে থাকে।

তিনি নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

উল্লেখ্য, আজ শনিবার থেকে শুরু হয়েছে দেশব্যাপী ‘নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ-২০১৯। ৩০ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সাতদিন নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হবে। এ বছর নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে ‘দূষণ, দখল মুক্ত করি, নৌ যাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি।’

আজ সকাল ৯টায় ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে সুন্দরবন-১০ লঞ্চে নৌ নিরাপত্তা সপ্তাহর উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

Print Friendly

Related Posts