বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের মাঝেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল আগের চোটটা। শেষদিকে তো বোলিং করার ঝুঁকিটাও নেননি মাশরাফি বিন মুর্তাজা। আগে এক পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে টান ছিল, এই ম্যাচে টান লেগেছে অপর পায়েও। প্রস্তুতি ম্যাচটিতে চোট ছোবল দিয়েছে মুস্তাফিজুর রহমান ও মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকেও।
এ ম্যাচের আগের দিন ফিল্ডিংয়ের সময় ঊরুর ওপরের দিকে টান লাগে তামিম ইকবালের। যদিও গুরুতর কিছু নয়, তবু সতর্কতা হিসেবে ম্যাচটি খেলেননি বাঁহাতি ওপেনার। কারও চোটই খুব গুরুতর নয়। তবে একটু এদিক-সেদিক হলে গুরুতর হতেও পারে। বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে বাংলাদেশ অধিনায়ককে ভাবাচ্ছে নিজের ও সতীর্থদের চোট। আর সেই ভাবনার আড়ালের উত্তর খুঁজে পেয়েছেন নিজেই। এই হাল্কা চোট নিয়েই আগামীপরশু নিজেদের প্রথম ম্যাচে নামতে চান দেশসেরা এই অধিনায়ক।
এদিন লন্ডনের কেনিংটন ওভালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে ডান হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট বয়ে বেড়াচ্ছিলেন মাশরাফি। ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচটিতে খেলা অনিশ্চিতও ছিল। ম্যাচের আগে পায়ের অবস্থা একটু ভালো অনুভব করায় খেলতে নামেন। খানিকটা অনুশীলনের তাগিদও ছিল। নতুন বল হাতে নিয়ে টানা দুটি মেডেন নিয়ে শুরু করেন। এক স্পেলে বোলিং করেন টানা ৬ ওভার। ষষ্ঠ ওভারে গিয়ে টান লাগে বাঁ হ্যামস্ট্রিংয়ে। এই চোটও তার বেশ পুরোনো, মাথাচাড়া দিয়েছে আবার।
৬ ওভারের স্পেল করা জরুরি ছিল কিনা, এই প্রশ্নে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানান অনুশীলনের তাগিদের কথা, ‘এসব ক্ষেত্রে আমার আসলে অনেক সময় সমস্যা হয় প্রথম ১-২ ওভার করতে। সেটুকু করতে পারলে পরে আর সমস্যা হয় না। ভারত ম্যাচে হচ্ছিল না। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারে টান লেগে গেল। ৪-৫ ওভারে থামতে পারতাম। কিন্তু ওই সময় রোহিত ও কোহলি বেশ অস্থির হয়ে উঠছিল রানের জন্য, শট খেলতে চাচ্ছিল বারবার। মনে হলো, এমন আক্রমণের সামনে প্র্যাকটিস করা জরুরি।’
পায়ে টান লাগার পর ফিল্ডিংয়ে অনেকটা সময়ই মাঠের বাইরে ছিলেন অধিনায়ক। মাঠ পরিচালনা করেছেন তখন সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শেষে হোটেলে ফেরার পর মাশরাফির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেছেন ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহন। এসব ক্ষেত্রে ফিজিওদের পরামর্শ থাকে সাধারণত ৫-৬ দিনের বিশ্রাম। এখন সেই উপায় নেই, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচের আগে সময় আছে ৩ দিন। অনেক চোট-আঘাত সয়ে ছুঁটতে থাকা অধিনায়ক এবারও মাঠে নামবেন যতটা সম্ভব এই ক’দিনে ফিট হয়ে। তবে কয়েক দিন হয়তো ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারবেন না। এই চোট তাকে ম্যাচ খেলা থেকে থামাতে পারবে না, কিন্তু অধিনায়ক চিন্তিত অন্যদের চোট নিয়ে। মাহমুদউল্লাহ এখনও হাত ঘুরাতে পারেন না, দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সাকিবও যে মাত্রই ফিরেছেন চোট কাটিয়ে!