বৈষম্য সংকোচনে বাজেটে মাতৃত্বকালীন ভাতা বৃদ্ধি এক বিশাল ভিত
বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০১৯-২০ অর্থ বছরের সর্বাধিক বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে দরিদ্র মাদের জন্য ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ভোগীর সংখ্যা ১০শতাংশ বাড়িয়ে ৭ লাখ ৭০ হাজার জনে উন্নীত করায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বেসরকারী সংস্থা ডরপ।
আজ সোমবার (১৭ জুন) যৌথ এক বিবৃতিতে ডরপ এর প্রতিষ্ঠাতা ও গুসি আন্তর্জাতিক শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী এএইচএম নোমান, মা স্বপ্ন ফাউন্ডেশনের আহবায়ক, একুশে পদক প্রাপ্ত মাজেদা শওকত আলী এবং গল্প-কবিতার বৃহস্পতির আড্ডার আহবায়ক কবি ও লেখক রোকেয়া ইসলাম বলেন, ‘দারিদ্র বিমোচনে সরকারের গৃহীত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর মধ্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আওতাধীন ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ একটি অনন্য ও বাস্তবসম্মত কর্মসূচী। মাতৃত্বকালীন ভাতা’র গুণগত মান ধরে রাখতে তথ্যভান্ডার সৃষ্টিসহ সংখ্যা না বাড়িয়ে মেয়াদকাল ৩ বছরের স্থলে শিশুর স্কুল ভর্তি পর্যন্ত ৫ বছর করা ও ভাতার পরিমাণ ৮শ টাকার স্থলে ন্যূনতম গার্মেন্টস শ্রম মজুরি ৮ হাজার টাকা প্রদানের দাবী করছি।’
তারা আরো বলেন, ‘দারিদ্রের উৎস বন্ধের দিকে নজর না দিলে দারিদ্র বিমোচন হবে না। দারিদ্র্য বিমোচন তথা- উন্নয়ন তলরেখা হলো মা। মা হলো এসডিজি’র একের ভেতর সতের। ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ সাম্যতা ও ন্যায্যতার শোষনহীন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রতিফলন। স্বপ্ন প্যাকেজ কার্যক্রম বাস্তবায়নে প্রয়োজন শুধু ‘এক মা এক লাখ টাকা’ বাজেট বরাদ্দ। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দারিদ্র্য বিমোচনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় মুজিবনগর-টুঙ্গীপাড়া-চাটখিল-রামগতি-দৌলতখানসহ ১০ উপজেলায় পাইলট আকারে বাস্তবায়িত ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কার্যক্রম ১শ উপজেলায় বাস্তবায়ন করার জন্য বাজেট বরাদ্দ দাবী করছি।’
ডরপ সরকারের বৈষম্যহীন সমৃদ্ধ ও সুখী সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ‘মাতৃত্বকালীন ভাতা’ ও ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ কর্মসূচীর জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের অংশীদারীত্বসহ অ্যাডভোকেসি করে আসছে। দারিদ্র্য বিমোচনে ‘স্বপ্ন প্যাকেজ’ মডেল শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বেও একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে বলে আশাবাদ জানিয়েছে সংস্থাটি।