বিশেষ প্রতিনিধি: ১৫-২০ জুন ২০১৯ মেয়াদে চাঁদপুর সার্কীট হাউজে অনুষ্ঠিত হল গ্রাম আদালতের রিফ্রেসার্স প্রশিক্ষণ। এতে অংশগ্রহণ করেন চাঁদপুরের ফরিদগন্জ, কচুয়া, শাহরাস্তি, মতলব-উত্তর ও মতলব-দক্ষিণ উপজেলার চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানবৃন্দ।
এ পর্যন্ত ৩টি ব্যাচের প্রশিক্ষণে মোট ৮৮ জন অংশগ্রহণ করেন। শেষ দিনের প্রশিক্ষণে চাঁদপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরে আলম এবং সিনিয়র সহকারী জজ মোঃ সিরাজ উদ্দীন সেশন পরিচালনা করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগ ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় এই প্রশিক্ষণ আয়োজন করে।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরে আলম প্রশিক্ষণে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের নেতৃত্বে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা ২০১৬ অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত পরিচালিত হয়। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সক্ষমতা অর্জন করতে না পারলে চেয়ারম্যানদের পক্ষে গ্রাম আদালত সঠিকভাবে পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। তাই গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালার কিছু মৌলিক বিষয় অবশ্যই চেয়ারম্যানদের জানতে হবে। এগুলো জানার ও বোঝার একটি অন্যতম প্লাটফর্ম হল আজকের এই প্রশিক্ষণ। এছাড়া পড়াশুনা করেও আমরা আইনে সমৃদ্ধশালী হতে পারি।
চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন, আপনারা জানেন আমরা নিয়মিতভাবে আমাদের কোর্ট হতে গ্রাম আদালতের এখতিয়ারাধীন মামলা গ্রাম আদালতে রেফার করি। এরফলে এলাকার মানুষ একটা বার্তা পায় এবং গ্রাম আদালতের উপর মানুষের আস্থা বাড়াতে সহায়ক হয়। আমরা যেমন আমাদের কোর্ট হতে মামলা গ্রাম আদালতে রেফার করি ঠিক তেমনি গ্রাম আদালতও চাইলে মামলার প্রতিবাদীর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা রেফার করতে পারে। প্রসঙ্গতঃ গ্রাম আদালত কোন ব্যাক্তিকে শাস্তি দিতে পারে না। গ্রাম আদালত শুধুমাত্র জরিমানা ও ক্ষতিপূরণের রায় দিতে পারে।
গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণগুলোর বিভিন্ন সেশনে যে সকল বিষয় উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হল: বিকল্প বিরোধ নিস্পত্তি (এডিআর), গ্রাম আদালত আইন ও বিধিমালা, গ্রাম আদালতের ধাপসমূহ, শুদ্ধাচার, মূল্যবোধ ও গ্রাম আদালত, জেন্ডার ও গ্রাম আদালত। প্রশিক্ষণে গ্রাম আদালতের উপর একটি নাটক দেখানো হয়। এছাড়াও গ্রাম আদালতের মক-ট্রায়াল করা হয় যেখানে ইউপি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানগণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।