টেক্সটাইল খাতে বছরে আমদানি প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার কেমিক্যাল!
বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবিলিটি ইন টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ (এসটেক্স), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ ও কনফারেন্স এন্ড এক্সিবিশন ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস লিমিটেডের (সেমস) যৌথ ব্যবস্থাপনায় ‘টেক্সটাইল কেমিক্যাল সেফটি ও ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক সিমপোজিয়াম ও ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৪ জুলাই বৃহস্পতিবার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকার ক্রিস্টাল বলরুমে সকাল ৯টা থেকে ৬টা পর্যন্ত আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, শিল্প মালিক সংগঠনের প্রতিনিধি, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে সিমপোজিয়াম ও মুক্ত আলোচনা এবং মধ্যাহ্ন ভোজের পর ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজিএমইএর ভাইস প্রেসিডেন্ট এরশাদ জামাল দিপু এবং বিকেএমইএ’র সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট ফজলে শামীম এহসান।
রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, বিভাগের অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ড. ইয়াসির আরাফাত খান, নলেজওয়ান এলএলসির প্রেসিডেন্ট ও প্রিন্সিপাল ড. জ্যাক চোসনেক, ব্লু সাইন বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কান্ট্রি রিলেশনশিপ ম্যানেজার শাহান রেজা।
বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম সুকান্ত ভট্টাচার্যের ছাত্রপড় কবিতার অংশবিশেষ উদ্বৃত করে বলেন, ‘আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের নিরাপদ ও সুন্দর পরিবেশ রেখে যেতে হবে। সেজন্য কেমিক্যাল সেফটি এবং ম্যানেজমেন্ট নিয়ে এখন থেকেই ভাবতে হবে।’
এক্সটেক্সের প্রজেক্ট ম্যানেজার ও বুয়েটের কেমিকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহিদুস সামাদ খান বলেন, ‘বর্তমানে প্রতি বছর টেক্সটাইল খাতের জন্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার কেমিক্যাল আমদানি করা হয়। এতো বিশাল আয়তনের কেমিক্যালের ব্যবহার, পরিবহন এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়ন এবং ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন। পাশাপাশি দেশীয়ভাবে এসব কেমিক্যালের উৎপাদন করা যায় কিনা সে বিষয়েও এখন থেকেই ভাবতে হবে।’
বিকেলে গ্রুপ ওয়ার্কে অংশগ্রহণকারীরা টেক্সটাইল শিল্পে কেমিক্যাল ব্যবস্থাপনায় নীতিমালা, ঝুঁকি, সমস্যা এবং সমস্যা সমাধানের নানা উপায় তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের লেকচার ম্যাটেরিয়াল এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।