বিরোধ নিস্পত্তি হলে সমাজে শান্তি ফিরে আসে

গ্রাম আদালত বিষয়ক উঠান-সভায় মতলব উত্তরের ইউএনও শারমিন আক্তার

বিশেষ প্রতিনিধি: গত ২০ জুলাই বিকালে ফতেপুর-পূর্ব ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের  চৌধুরী বাড়িতে গ্রাম আদালত বিষয়ক এক বিশেষ উঠান-সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আজমল হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব-উত্তরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ) নিকোলাস বিশ্বাস। এ সভায় এলাকার প্রায় ২৫০ নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, মানুষের মাঝে যখন বিরোধের সৃষ্টি হয় তখন সমাজে অশান্তি বিরাজ করে এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে। ছোট-খাট বিরোধ থেকেই বড় বড় বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই ছোট-খাট বিরোধ অল্পতেই যদি নিস্পত্তি করা যায় তাহলে বড় বিপদ থেকে আমরা রক্ষা পেতে পারি। এভাবে বিরোধ নিস্পত্তি হলে সমাজে শান্তি ফিরে আসে। শান্তি-প্রিয় মানুষ সমাজ ও দেশের সমৃদ্ধির কথা বেশী করে ভাবে এবং দেশ-প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে।

motlob-1

প্রধান অতিথি বলেন, সমাজে শান্তি স্থাপনে গ্রাম আদালত দারুনভাবে কাজ করে। গ্রাম আদালতের আইনগত ভিত্তি রয়েছে। আইনের ধারা ও বিধি অনুসরণ করে গ্রাম আদালতের প্রতিটি বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর প্রতিটি পদক্ষেপ আইন দ্বারা সিদ্ধ। এলাকার জনসাধারণ যত বেশী গ্রাম আদালতের সেবার বিষয়ে জানবেন তত বেশী লাভবান হবেন। গ্রাম আদালতের বিচারিক-সেবার কথা আমাদের বেশী বেশী জানতে হবে যাতে বিরোধে জড়িয়ে পড়লে আমরা সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতে চলে আসি এবং স্বল্প সময়ে বিচার বুঝে নিই। এটা আমাদের অধিকার।

সভার বিশেষ অতিথি গ্রাম আদালতের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর (ডিএফ) নিকোলাস বিশ্বাস বলেন, বাংলাদেশ সরকার, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং ইউএনডিপি -এর সহায়তায় ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প’ চাঁদপুর জেলায় মোট ৪৪ ইউনিয়নে বাস্তবায়ন করছে। তবে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) অনুযায়ী দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালত কাজ করবে। স্থানীয় সরকার বিভাগের বাস্তবায়নাধীন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পটি কেবলমাত্র জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের কাজ করছে।

উঠান-সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহফুজুর রহমান, ফতেপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রজব আলী গাজী, ফতেপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন মুন্সি, চাঁদপুর জেলা যুব লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনির হোসেন সরকার, গ্রাম আদালতের উপজেলা সমন্বয়কারী সগির আহমেদ সরকার, ফতেপুর-পূর্ব ইউনিয়নের সচিব দেওয়ান আব্দুল ওহাব এবং গ্রাম আদালত সহকারী মোঃ আল কামাল হাসান সহ ফতেপুর-পূর্ব ইউনিয়নের সকল ইউপি সদস্যবৃন্দ।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts