রিসোর্টে বসেই মিলবে তাজা চা পাতার ঘ্রাণ

মো. মামুন চৌধুরী: দিনদিনই ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জের বাহুবলের ‘আমতলী নেচার রিসোর্ট’। ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কের পাশে বাহুবল উপজেলার আমতলী চা বাগান। নয়নাভিরাম আমতলী নেচার রিসোর্টটি নিবিড় ছায়াঘেরা এ চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোর কাছেই । রিসোর্ট থেকে যেদিকে চোখ যাবে শুধু সবুজ আর সুবজ। ফ্যাক্টরি কাছে থাকায় রিসোর্টে বসেই তাজা চা পাতার ঘ্রাণ পাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে প্রায় চার ঘণ্টায় এ বাগানে আসা সম্ভব। সড়ক পথে আসলে বাগানের গেইটে নামা যায়। আর ট্রেনে আসলে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে নেমে সড়ক পথে প্রায় ১২ কিলোমিটার অতিক্রম করে সহজে আসা যাবে।

এ রিসোর্টটি শুধু থাকার সুব্যবস্থাই নয়, রয়েছে খাবারেরও ভাল ব্যবস্থা। বাবুর্চির মাধ্যমে স্বাদের প্রিয় প্রিয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, টিলায় টিলায় চা গাছ। রাবার গাছও আছে। রিসোর্টের কাছেই প্রায় দুই একর জমির বেষ্টনীর মাঝে রয়েছে মায়া হরিণের বিচরণ। পাখির কলকাকলি। এসব মিলে তৈরি হওয়া নৈসর্গিক পরিবেশ যে কাউকে মুহূর্তে ভুলিয়ে দেবে ব্যস্ত জীবনের ক্লান্তি।

হবিগঞ্জের স্বনামধন্য পরিবেশ প্রেমিক আহমদ আলী বলেন, ‘ব্যক্তিগত মালিকানায় স্বল্প পরিসরে তৈরি এই রিসোর্টটিতে অবস্থান করে দিনের বেলায় আশপাশের চা বাগান দেখতে দেখতে বেশ সময় কেটে যাবে। পরে বেড়ানোর জন্য বেছে নেওয়া যেতে পারে শ্রীমঙ্গলের সীতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, বাইক্কা বিলের (জলজ-উদ্ভিদের অভয়াশ্রম ও পদ্মফুলে ভরা দেশের বৃহত্তম জলাভূমি) অপূর্ব সৌন্দর্য। এর সঙ্গে রাতে চাঁদের আলোয় বারবিকিউ পার্টি। সব মিলিয়ে আপনার ছুটির দিন হয়ে উঠতে পারে অনেক বেশি আনন্দময় ও উত্তেজনাপূর্ণ।

বছরের সব ঋতুতেই আসা যায় এ রিসোর্টে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার রয়েছে। যাবার জন্য প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ আপনাকে গাড়ির ব্যবস্থা করে দেবে। তাই নিরাপদ ও নৈসর্গিক এ স্থান ভ্রমণপিপাসুদের অপেক্ষায় থাকে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts