মোকাম্মেল হক মিলন: চারদিকে যখন একটু শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে, ঠিক তখন কার্তিক মাসের শেষ সপ্তাহে আকস্মিক বৃষ্টিতে এবং ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানের ঘর বাড়ি, ফসলি জমির পাশপাশি ইটভাটার মালিকেরা বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়েছেন।
ইট ভাটা মৌসুমের শুরুতেই বৃষ্টি থেকে কাঁচা ইট রক্ষায় তেমন কোনো প্রস্তুতি ছিল না তাঁদের। পোড়ানোর জন্য প্রস্তুত রাখা কাঁচা ইট বৃষ্টিতে ভিজে এ লোকসানের শিকার হয়েছেন তাঁরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার সাতটি উপজেলার অধিকাংশ ইট ভাটায় কোন শ্রমিক নেই। সাজানো কাঁচা ইটগুলো বৃষ্টির পানিতে গলে গেছে। কিছু ইট পলিথিন দিয়ে ঢাকার চেষ্টা হলেও ঘূর্ণিঝড় বুলবুল’র প্রভাবে শেষ রক্ষা হয়নি। টানা ২ দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে ইট ভাটায় প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট গলে মাটির স্তুপে পরিণত হয়েছে। ভাটা মালিকদের দাবী, প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে আমাদের আরো এক থেকে এক থেকে দেড় মাস সময় লেগে যাবে।
রূপালী গ্রুপের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক জে আই সবুজ জানান, তাদের ২টি ইটভাটায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। সোনালী ইটভাটার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বাহালুল করিম রুবেল বলে আমাদের ইটাভাটায় ক্ষয় ক্ষতির পরিমান অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। আমাদের পক্ষে ক্ষয় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারব কিনা তা জানিনা। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আর যেন বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়।
ভোলার দৌলতখানের রংধনু ব্রিক ফিল্ডের কর্ণধার পারভেজ জানান, তাদের দুটি ফিল্ড ও কয়লার ডিপো সহ প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়। ইটভাটা মালিকদের দাবী তাদের এ ক্ষয় ক্ষতির বিষয়টি যেন সরকার ও প্রশাসন সুদৃষ্টি দেয়।
এদিকে খান ইটভাটার ইটকাটার এক শ্রমিক বলেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল এর কারণে তাদের কাজ বন্ধ রয়েছে। তারা এখন মালিকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে সংসার চালাচ্ছেন।
রফিজল নামের এক ক্রেতা বলেন, তিনি বিদেশ থেকে তিন মাসের ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন নতুন ঘর নির্মাণ করবেন। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ইটভাটা গুলোতে ইট পোড়াতে না পারার কারণে আমি যথাসময়ে কাজ শুরু করতে পারব না এবং এবং ইটের দাম বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছি।