`সম্প্রীতি ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথিবীর সকল মানুষ হিংসা বর্জন করে পারস্পরিক ভেদাভেদ ভুলে সংঘাত ও কলহমুক্ত উৎসবমুখর পরিবেশ অতিবাহিত করলে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বন্ধুত্ব স্থাপনে পৃথিবীতে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের যুুগের আগমন ঘটবে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ আয়োজিত ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ পালন অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি এফ. আহমেদ খান রাজীব।  তিনি বলেন, হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাতৃত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দের মিশ্রণে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

বন্ধুত্বের বলয় সৃষ্টির আহবান জানিয়ে রাজীব খান বলেন, দেশ ও জাতির উন্নয়নে সকল ভেদাভেদ ভুলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। পরিবেশ যদি শান্তিময় হয় তাহলে সকল কাজ যথাযথ হয় কিন্তু পরিবেশ যদি সহিংসমূলক হয় সেক্ষেত্রে সকল কাজ নিষ্ফল হয়। এজন্যই সকলের মধ্যে সু-সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ’র সভাপতি হিসেবে ২০১২ সাল হতে আজ অবধি ব্যক্তি দায়বোধ থেকে কোনো চাঁদা সংগ্রহ না করে ব্যক্তিক উপার্জিত অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। চলমান সময়ে সংগঠনের রুপরেখা বাস্তবায়নে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। এজন্য সরকারী সহযোগীতাসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা এবং বিভিন্ন ব্যাংকসহ দেশের বিত্তবান শিল্পপতি ব্যক্তিবর্গদের অর্থনৈতিকসহ সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।

তিনি বলেন, সকল পর্যায়ের বিরোধ নিষ্পত্তিতে ও সকল অশান্তিপূর্ণ পরিবেশকে শান্তিময় করতে বাংলাদেশ সম্পর্ক উন্নয়ন পরিষদ ও শান্তিময় সমাজ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ এর নেতৃত্বে থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মহান আল্লাহর দয়া ও দেশবরেণ্য মহোদয়গণের সম্পৃক্ততায় উক্ত বলয় তিনটি গঠিত হলে এই দেশটি অতিদ্রুত শান্তি, সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ হিসেবে পৃথিবীর মডেল সৃষ্টি হবে।

রাজীব খান বলেন, ইতোমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধান, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন নীতিনির্ধারক ব্যক্তিবর্গের নিকট উক্ত দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপনের আহবান জানিয়েছি।  এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ ও ২০১৮ সালের ন্যায় এবছরও ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশসহ পৃথিবীবাসীকে ‘হিংসামুক্ত বিশ্ব সম্প্রীতি দিবস’ উদযাপনের আহবান জানিয়েছি।

বাংলাদেশ বন্ধু সমাজের সভাপতি বলেন, চলমান সময়ে যুগের প্রয়োজনে সকল সংঘাত ও সন্ত্রাসমুক্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের পরিবেশ সৃষ্টির সহযোগিতায় বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সকল পক্ষের সেতু-বন্ধন বিবেচনায় মানবাধিকার কমিশন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ন্যায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সহযাত্রী স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজকে সাংবিধানিক বৈধতাসহ জাতীয়ভাবে স্বীকৃতি প্রদান অথবা জাতীয়করণ করার জন্য শান্তিকামী দেশবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ সকল নীতি-নির্ধারক মহোদয়গণের অনুরোধ করছি।

রাজীব খান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহবানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানে ৩০ লক্ষ শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। এই দেশকে কহল-দ্ব›দ্ব-সংঘাত ও সন্ত্রাসমুক্ত করতে পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ-অহংকার পরিত্যাগ করে ভ্রাত্বত্ব-বন্ধুত্ব-সৌহার্দ্যর মিশ্রনে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশ গড়তে পারলেই বাংলাদেশ হবে পৃথিবীবাসির জন্য সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশের মডেল। আমাদের নতুন প্রজন্মের জন্য এই দেশটি হবে শান্তির আবাস।

রাজীব খান আরও বলেন,  বাংলাদেশকে সম্প্রীতি ও বন্ধুত্বের দেশের মডেল সৃষ্টিতে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠায় আগামী ২০২০ সালের ৮ ফ্রেব্রুয়ারি শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ বন্ধু সমাজ-এর আয়োজনে শান্তির আহবানে মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- এম গোলাম মোস্তফা ভূইয়া, কলমযোদ্ধা লিয়াকত আলী খান, হাবিবুর রহমান, মঞ্জুর হোসেন ঈসা, সাংবাদিক নেতা ডি এম আমিরুল ইসলাম অমর, হাফিজুল ইসলাম বিশ্বাস, আব্দুর রাজ্জাক, মজিবুর রহমান প্রমুখ।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts