বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নরেন্দ্রনাথ দত্ত থেকে স্বামী বিবেকানন্দ হয়ে ওঠা যুবকের জীবনের গল্প কমবেশি সকলেই জানেন। মহান এই বাঙালি যুগে যুগে আসমুদ্রহিমাচলকে জ্ঞানের চক্ষু খুলে জাগ্রত করে চলেছেন।
ঘটনা তাঁর ভারত ভ্রমণের সময়ের। আগ্রা থেকে বৃন্দাবন যাওয়ার পথে ১৮৮৮ সালে রাস্তার ধারে একজনকে গাঁজা খেতে দেখে স্বামীজিও রাস্তায় বসে পড়েন। গাঁজার ছিলিম চাইলে সেই ব্যক্তি বলেন, আপনি সন্ন্যাসী। আমি নীচু জাতের লোক। আমি আপনাকে ছিলিম দিই কি করে? উঠে দাঁড়িয়ে চলে যেতে গিয়েও স্বামীজি বসে পড়ে জোর করে গাঁজা খান। পরে জানিয়েছিলেন, কাউকে ঘৃণা করতে নেই। আমরা সবাই ঈশ্বরের সন্তান।
আর তাঁর জাত যাওয়ার প্রমাণ খুঁজতে বাবার হুঁকো টেনে দেখার কাহিনী সবার জানা। বাবা বিশ্বনাথ দত্তের কাজের ঘরে বিভিন্ন জাতের জন্য বিভিন্ন হুঁকো রাখা ছিল। লুকিয়ে লুকিয়ে তা চেখে দেখতে গিয়েছিলেন। ধরা পরার পর তিনি বলেছিলেন ‘দেখতে চাইছিলাম আমার জাত গেল কি না?’
সেই নরেনই বাবার মৃত্যুর পর দিনের পর দিন না খেয়ে কাটিয়ে দিতেন। বিশ্বনাথ দত্তের প্রয়াণের পর পরিবারের অবস্থা বেশ খারাপ হয়। খাবার জোটানো তখন দায় ছিল। স্বামীজি প্রায় প্রতিদিনই বলতেন, আজ দুপুরে বাইরে নিমন্ত্রণ রয়েছে। এই বলে বেরিয়ে যেতেন যাতে বাড়ির খাবারের ভাগ বাকীরা বেশি পায়। নিজে প্রায় বেশিরভাগ দিনই অভুক্ত থাকতেন। তা নিয়ে গর্বও করতেন।
সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় kolkata24