খান মাইনউদ্দিন,বরিশাল ॥ সংবাদ প্রকাশের পর বেড়িয়ে এসেছেে এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর তথ্য। চলন্ত গাড়ীতে এস.এস.সি পরীক্ষার্থী দু’তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে শালিশের নামে আগেভাগেই অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
জানা যায়, এ কারণে মামলার বাদী বাস চালক মেহেদী ও তার বন্ধু আরিফের শ্রমিক কার্ড সাময়িক বরখাস্ত করে দেয় ধর্ষকের ওই আশ্রয়দাতা। কিন্তু তার এহেন অবৈধ সিদ্ধান্তের বিষয় বেশিদিন স্থায়ী থাকেনা। প্রকৃত অপরাধীরাই নিজেদের মোবাইল ফোনে ধারণকৃত ভিডিও অন্যান্য শ্রমিকদের দেখায়। এতে প্রকাশ পায় ন্যাক্কার জনক ঘটনাটি। পরে ধীরে ধীরে আইনশৃংখলা বাহিনীর নিকট পৌঁছে গেলে তাদের তদন্তে বেরিয়ে আসে ওই শ্রমিক নেতার অপকর্মের চিত্র।
সূত্রানুযায়ী আরও জানায়, এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই শ্রমিক নেতার কড়া নাড়ে থানা পুলিশ। তাদের চাপের মুখে ঘটনার বিষয় স্বীকার করে এবং আটকৃত ৫ ধর্ষকদের অবস্থান নিশ্চিত করে দেয়। তবে প্রশাসনের এ কাজে সহযোগিতা করে নিজেকে আড়াল করার চেষ্টায় লিপ্ত হয় ওই শ্রমিক নেতা।
এদিকে নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক বাস স্টাফ জানিয়েছে, আলোচিত ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার জন্য ওই শ্রমিক নেতা ( যার নামের আদ্যাক্ষর ‘ম’) একাধিক লোকের সহযোগিতা চেয়েছে। ঘটনাটি তাদের উপর মহল অর্থাৎ মালিক সমিতির ন্যায় বিচারক আফতাব হোসেনের কানে যাতে না পৌঁছে তার সব চেষ্টাই করে তারা। তবে শেষ মুহুর্তে আফতাব হোসেন জেনে যায়। এর প্রতিকূলে অন্যায় কে প্রশ্রয় না দিয়ে তাৎক্ষনিক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি।
তারা আরও বলেন, পরিবহন নেতা হিসেবে আফতাব হোসেন যোগ্য। কারণ হিসেবে উল্লেখ করে, এ নেতা যেমনি কঠোর তেমনি উদার। শ্রমিকদের সুখ, দুঃখে সব সময়ই পাশে থাকেন। আবার অন্যায় পেলে কোন প্রকার আপোষ না করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন। শ্রমিক কর্তৃক বাসে তরুনী ধর্ষনের ঘটনায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবেন আফতাব হোসেন এমন দাবী তাদের।