বিডি মেট্রোনিউজ॥ আবহাওয়া পরিবর্তন, সূর্যের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, শরীরে ঘাম বৃদ্ধি এবং পানি শূন্যতার কারণে শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে। আবহাওয়া পরিবর্তনে ক্ষতিকর শিকার হচ্ছে শিশুরা। তাপমাত্রা বাড়াকমার কারণে শিশুদের কফ, পানি শূন্যতা এবং ডায়রিয়ার মতো নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
প্রখ্যাত চিকিৎসক জাতীয় অধ্যাপক ড. এম আর খান বলেন, এই গরমে শিশুরা খুবই সংবেদনশীল। আদ্র আবহাওয়ায় তাদের শরীরে পানি শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের জীবাণু শরীরে প্রবেশ করছে। তিনি বলেন, একজন প্রাপ্ত বয়স্কের চেয়ে তুলনামূলক শিশুর ওজন কম। তার শরীর থেকে যখন অধিক পরিমাণ পানি বের হয়ে যায়, তখন শিশুটি আরো ঝুঁকির মুখে পড়ে।
চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ বলেন, শিশুরা বিভিন্ন উপদ্রব্যের কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে খুব সহজেই বিভিন্ন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়। এতে কফ জমে জ্বর ও শ্বাস-প্রশ্বাসে অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনজনিত কারণে জ্বর, ঠান্ডা, কফ এবং ডায়রিয়ার মতো মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এ অবস্থায় গ্রামের শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তারা দীর্ঘ সময় ধরে পুকুর অথবা খালে গোসল করে আসছে। কখনো তাদের বাবা-মা তাদেরকে বারণ করে না। এ সকল শিশুরা দীর্ঘ সময় পানিতে নেমে গোসল করে উঠে আবার প্রখর রোদে খেলাধূলা করে। এতে শিশুরা কখনো কখনো অসুস্থ হয়ে পড়ে।
গুলশান মা ও শিশু ক্লিনিকের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. শাকিল ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকে ঘাম নিয়ে গোসল না করার পরামর্শ দিয়েছেন। অনেক সময় বাচ্চারা বাইরে রোদ থেকে ঘরে ফিরে গরমের কারণে ঘাম নিয়েই গোসলে যায়। এটি ক্ষতিকর। তিনি এই গরমের সময়ে মা’দের অতিরিক্ত খাবার খাওয়া এবং বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন।
আইসিডিডিআরবি’র একজন কর্মকর্তা বলেন, মার্চ ও এপ্রিল মাস গরমকাল। এই মওসুমে সাধারণত ডায়রিয়া রোগ দেখা যায়। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এ সময়ে হাসপাতালে সর্বাধিক সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়।
চিকিৎসকরা গ্রীষ্মকালে শিশুদের অতিরিক্ত যত্ন নেয়ার জন্য মা’দের প্রতি পরামর্শ দেন। শিশুর শরীরে পানি শূন্যতা দূর করতে বেশি করে তরল ও ঠান্ডা খাবার দেয়ার পরামর্শ দেন তারা।