বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে উত্তরসূরীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বাংলা কবিতার রাজপুত্র কালের কণ্ঠস্বর কবি আল মাহমুদ।
এ উপলক্ষে শনিবার ঢাকার কাঁটাবনে কবিতাক্যাফেতে আয়োজিত স্মরণ ও কবিতাপাঠ অনুষ্ঠানে কবিরা আল মাহমুদকে বাংলা কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ অর্জন হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, নাগরিক সভ্যতার সাথে গ্রামীন মিথ যুক্ত করে বাংলা কবিতায় একটি অনন্য ধারা রচনা করে গেছেন তিনি।
কবিতার ছোটকাগজ ‘কবি এবং কবিতা’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন পত্রিকাটির সম্পাদক কবি শাহীন রেজা।
ষাটের দশকের অন্যতম কবি জাহিদুল হক ছিলেন প্রধান অতিথি আর প্রধান আলোচক ছিলেন কবি রেজাউদ্দিন ষ্টালিন।
বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি জাহাঙ্গীর ফিরোজ, ভারতের কবি কাজল চক্রবর্তী, প্রবাসী কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল এবং বিশিষ্ট ছড়াকার আসলাম সানী। স্বাগত বক্তব্য দেন কবি জাকির আবু জাফর।
কবিকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন কথাসাহিত্যিক আবু সাইদ জুবেরী, কবির বেয়াই আবুল হোসেন, কবি দারা মাহমুদ, কবি সাবেদ আল সাদ, কবি বকুল আশরাফ, কবি কামরুজ্জামান, কবি তৌফিক জহুর, কবি জামসেদ ওয়াজেদ, কবি মনসুর আজিজ প্রমুখ।
মাশরুরা লাকি এবং ইসমাইল জুমেল এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে কবির কবিতা আবৃত্তি এবং নিবেদিত কবিতা পাঠে অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার নাসিম আহমেদ, পলি রহমান, আলমগীর ইসলাম শান্ত, তাহমিদ জামান, নুরুন নাহার নীরু, সাঈফ মাহাদী, সীমান্ত আকরাম, নুরুল আবছার, শিফ্ফাত শাহরিয়ার, আমিন আল আসাদ, আমীর সোহেল, নুর মোহাম্মদ, মুজিবুর রহমান, শওকত ইমতিয়াজ, মীর ইশরাত জাহান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কবির মহাকাব্য ‘যে গল্পের শেষ নেই শুরুও ছিলনা , এর মোড়ক উন্মোচন করেন উপস্থিত অতিথিরা।
তারা বলেন, এই মহাকাব্য বাংলা কবিতায় একটি নতুন সংযোজন এবং এর মধ্য দিয়ে আল মাহমুদ মহাকবির তালিকায় নাম লেখালেন। এ সময় বইটির প্রকাশক সরলরেখা প্রকাশণের পক্ষে কবি আজরা পারভীন সাঈদ, শ্রুতিলেখক শামিল আরাফাত এবং কবির দীর্ঘদিনের সহচর কবি আবিদ আজম বক্তব্য রাখেন।
বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা অব্দি অসংখ্য কবি ও কবিতা ভক্তের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানস্থল আল মাহমুদময় হয়ে ওঠে।