জুবায়ের চৌধুরী পার্থ, ভোলা: করোনা ভাইরাস ঠেকাতে যখন বন্ধ করা হচ্ছে একের পর এক প্রতিষ্ঠান ও জনসমাগমস্থল, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হঠাৎ করেই বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম। এর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে চালের পাইকারি ও খুচরা বাজারে। একদিনের ব্যবধানে বস্তা প্রতি সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ভোলার চালের বাজার।
সরেজমিনে ভোলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে চালের দাম বাড়ার সত্যতা মিলেছে। পাইকারি বাজারে চালের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে ভোলা সদরসহ সব পাইকারি ও খুচরা বাজারে। ভোলার বাজারে বস্তা প্রতি ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে চালের দাম।
বুধবার (১৮ মার্চ) যে চিনিগুড়া চালের দাম ছিল ৪৪০০ টাকা, বৃহস্পতিবার সেটা ৫০০ টাকা বেড়ে ৪৯০০ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়েছে। মিনিকেট ছিল ১৯৫০ টাকা, হয়েছে ২১০০ টাকা।কাটারিভোগ ছিল ২৭০০ টাকা, সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ২৮৫০ টাকায়। সিদ্ধ পাইজারের দাম ছিল ১৮০০ টাকা, সেটি বেড়ে দাঁড়ায় ১৯৫০ টাকা। বেতি চাল দাম ১৭০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮৫০ টাকা। কাটারিসিদ্ধের দাম ২০৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১২০ টাকা।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, অতিরিক্ত মুনাফার জন্য বাজারে করোনার গুজব ছড়িয়ে চালের কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে ব্যবসায়ীরা। দেশের মানুষকে জিম্মি করে হয়রানি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। এমন মজুদ আর কৃত্রিম সংকট আরো কয়েকদিন চলতে থাকলে দিনমজুর খেটে খাওয়া মানুষগুলোর অবস্থা খুব করুণ হবে।
এদিকে ভোলা নতুন বাজারের এক চালের ব্যবসায়ী জানান, আমাদের কি করার আছে, বেশি দাম দিয়ে চালের বস্তা কিনে আনতে হচ্ছে, করোনার কারনে পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে।