বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ করোনা আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে ইতালিতে। ইতিমধ্যে সেখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৯ হাজার ১৩৪ জনের। নতুন করে মৃত্যু হয়েছে ১০০০ জনের। যা কিনা গত ২৪ ঘন্টায় সর্বাধিক।
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হল ইতালি। সেখানে প্রায় সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে থাকছেন। সে দেশের সরকার জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলের ৩ তারিখ অবধি বন্ধ রাখা হতে পারে সব পরিষেবা।
চীনের পরই ইতালিতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে শুরু করে এই ভাইরাস। অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছায়, একসময় চীনকেও ছাপিয়ে যায় ইতালি। ইতিমধ্যে করোনা রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে সে দেশের প্রশাসন। সব ধরণের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সারা বিশ্বে এর আগে করোনায় এত বেশি লোকের মৃত্যু হয়নি। বলা যেতে পারে সম্পূর্ণ রূপে ভেঙে পড়েছে সে দেশের প্রতিরোধ।
অন্যদিকে আক্রান্তের সংখ্যায় এবার চীন, ইতালিকে ছাড়িয়ে গিয়েছে আমেরিকা। এই মুহূর্তে বিশ্বের সবথেকে বেশি করোনা আক্রান্ত আমেরিকায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পাওয়া হিসেব বলছে, ৮২,৪০৪ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন আমেরিকায়। যা ইতালির থেকেও বেশি।
পাশাপাশি সে দেশে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। মার্কিন মুলুকে শুধু একদিনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২০০ জনের। এর ফলে আমেরিকার করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯২১-এ। শুধু তাই নয়, গত বৃহস্পতিবারে ঘন্টায় আমেরিকায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
সংখ্যাটা এখানেই থেমে থাকবে না বলে আশঙ্কা। কারণ ইতিমধ্যে সে দেশে করোনা ভাইরাসের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন ঘটে গিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে। ভয়ঙ্কর এই পরিস্থিতিতে নিউ ইয়র্ক এবং ক্যালিফোর্নিয়াসহ ১৮টি রাজ্যে ঘরে থাকার নির্দেশ জারি করেছে সরকার।