করোনা থেকে মুক্তি ছোট ছোট অভ্যাসেই

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ নিজেরা যত বেশী সচেতন হব ততই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে আমাদের মধ্যে।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় সকলকেই সামাজিক দূরত্ব বজার রাখার নির্দেশ দিচ্ছেন, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা।

কিছু মানুষকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাড়ির বাইরে পা- রাখতেই হচ্ছে। এই অবস্থায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার করা এবং বাইরে থেকে জিনিসপত্র কিনে আনার পর আপনার এবং প্রিয়জনদের স্বার্থে অবশ্যই কিছু সুরক্ষা বিধি মেনে চলুন। যদি তাতে কিছুটা হলেও সংক্রমণের বিরুদ্ধে জয়লাভ করতে পারি আমরা।

এই বিষয়ে বাজার করার পর কিকি করনীয় সেই বিষয়ে আপনার জন্য রইল কিছু টিপস। দয়া করে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী মেনে চলুন এইসব স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সতর্কতা বিধি।

১.বাজার করুন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে। মনে রাখবেন, যখন জিনিসপত্র কিনবেন তখন আপনার এবং বিক্রেতার মধ্যো অন্তত ২ মিটার দূরত্ব বজায় থাকে। এতে সংক্রমণের আশঙ্কা কম থাকে।

২. বাড়ি এসে নির্দিষ্ট স্থানে রাখুন বাজারের থলে। এরপর অন্তত ২০ সেকেন্ড ভালো করে হ্যান্ড স্যানিটাইসার বা জীবাণুনাশক দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন।

৩.এছাড়াও রান্নার আগে এবং পরে ভালো করে হাত ধুয়ে নিন।

৪. সব থেকে বড় বিষয় হল, বাজারের আনাজপাতিতে প্রায় সকলেই হাত দিয়ে বেছে দেখে শুনে কেনেন। এতে জীবাণুর সংক্রমণের ভয় থেকে যায়। ফলে বাজার থেকে সবজি কেনার পর তা কাটার আগে ভালো করে নুন ও গরম জলে ধুয়ে নিন। এছাড়াও এই সময় খাবার ভালো করে সিদ্ধ এবং ফুটিয়ে খাওয়া জরুরি।

৫. বাজারের ব্যাগ নির্দিষ্ট জায়গায় রাখুন এবং, প্রতিদিনই বাজারের ব্যাগটি ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করুন। নচেৎ হিতে বিপরীত কিছু ঘটে যেতে কতক্ষন।

৬.বাইরে থেকে ঘরে আসার পর অবশ্যই ভালো করে স্নান করে ফেলুন। এছাড়াও এই মুহুর্তে ক্রয় বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কার্ডে পেমেন্ট এড়িয়ে চলুন। ক্যাশের কাজ চালান। অবশ্যই টাকা পয়সা লেনদেনের পর হাত অ্যালকোহল যুক্ত ভালো জীবাণুনাশক দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৭. বাড়ির নির্দিষ্ট এক জনকে দিয়েই বাজার করান। এই সময় বাড়ির বয়স্ক সদস্যদের দিয়ে বাজার করা এড়িয়ে চলুন। কারন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। এই অবস্থায় কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তা যথেষ্ট চিন্তার বিষয়।

৮. আর যাদের বাড়িতে আনাজপাতি কেনার লোকের অভাব তাঁরা স্থানীয় ক্লাব, সংগঠন বা পুলিশ স্বেচ্ছাসেবীদের সাহায্য নিতে পারেন। কারন, এই সময় অসহায়দের পাশে দাঁড়াতে সদা সচেষ্ট পুলিশ প্রশাসন।

সুতরাং সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। মেনে চলুন সরকারি নিয়মাবলী।

Print Friendly

Related Posts