বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশের ছেলে সাগর

মো. শাহ আলম: ওয়াশিংটন ডিসি’তে বিশ্বের সর্ববৃহৎ চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের মেডিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এন.আই.এইচ) বাংলাদেশের ড. আব্দুল কাদের সাগর ‘বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ ফেলো’ হিসেবে গত ৩০ মার্চ যোগদান করেছেন।

আব্দুল কাদের সাগরের বাড়ি দিনাজপুর শহরের পাক-পাহাড়পুর। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এবং জাতীয় সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লায়ন এম এ মজিদ ও কামরুন নাহার জেসমিনের একমাত্র সন্তান।

সাগর বিশ্বের ও যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম সেরা ইউনিভার্সিটি অব উইসকনসিন-মেডিসন থেকে ২০১৯ সালের ৯ই ডিসেম্বর ‘বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ইলেকট্রনিক্স পদ্ধতিতে খুব সহজেই অল্প সময়ে ও স্বল্প মূল্যে মানব দেহের দূরারোগ্য মরণঘাতী রোগের জীবাণু মানব দেহের কোষ থেকে উদঘাটন করার পদ্ধতি আবিষ্কার করাই ছিল সাগরের পিএইচডি গবেষণার মূল বিষয়।যা চিকিৎসা বিজ্ঞানে বিশ্বে আশার আলো সঞ্চার করেছে।

ড. সাগর যে বিষয়ে গবেষণা করে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন সে বিষয়ে কৃতিত্বের অধিকারী বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকজন। তাই ড. সাগরকে বিশ্বের সেরা ও প্রথম ইউনিভার্সিটি অব হার্ভার্ডসহ আরো সেরা কয়েকটি ইউনিভার্সিটি সরাসরি বায়োমেডিক্যাল বিষয়ে ‘পোস্ট ডক্টরাল রিসার্চ এসোসিয়েট’ হিসেবে চাকুরির অফার দিয়েছিল। আবার একই সাথে বিশ্বের সর্ববৃহৎ মেডিক্যাল রিসার্চ প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ সাগরকে ‘বায়োমেডিক্যাল রিসার্স ফেলো’ হিসেবে চাকরির অফার প্রদান করে। সবগুলো অফারই সেরা সেরা হওয়ার কারণে সিদ্ধান্ত নিতে তাকে দ্বিধায় পড়তে হয়।

ন্যাশনাল ইনিস্টিটিউট অব হেলথ-এ চাকুরিটা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকার অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের। এ ছাড়াও ফেডারেল সরকারের চাকুরিতে নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও জীবন বীমাসহ বেশ কিছু সুযোগ এবং চাকরি শেষে পেনসন, গ্রাচুয়েটি, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ ফেডারেল সরকারের অন্যান্য সুবিধাগুলো তো রয়েছেই। যেখানে শুধু ‘রিসার্চার’ হিসেবে নিয়োগ পাওয়াটাই বিশাল কিছু পাওয়া।তাই সাগর বিশ্বের সেরা চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন বলে জানান তার বাবা অ্যাড. এম এ মজিদ।

Print Friendly

Related Posts