জ,ই,বুলবুল: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর উপজেলার থানাকন্দি গ্রামে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়।
দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান গ্রুপ ও কাউছার মোল্লা গ্রুপের মধ্যে গ্রামের আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গতকাল রবিবার কাউছার মোল্লা গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। আবু মেম্বার বাড়িসহ প্রায় ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়। হামলাকারীরা জিল্লুর চেয়ারম্যান গ্রুপের মোবারক হোসেন (৪৫)এর পা কেটে নিয়ে যায়। এ কাটা পা নিয়ে তারা মিছিল করে। এ কাটা পা নিয়ে মিছিলের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প থাকাবস্থায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । এলাকাটি দাঙ্গাপ্রবন বিধায় অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে।
নবীনগরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মকবুল হোসেন জানান, সংঘর্ষের পর ২২ জনকে আটক করা হয়েছে। দাঙ্গাবাজদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন আছে। পা কেটে নেয়ার ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য ওই গ্রামে প্রায় তিন যুগের বেশী সময় ধরে দুই প্রভাবশালী আবু মেম্বার ও মোসলেম মেম্বারের মধ্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। বর্তমান এই দুই গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও কাউছার মোল্লা । এলাকার যে কোন ইস্যুতে ওই দুই গ্রুপ দুই পক্ষে অবস্থান নিয়ে নেতৃত্ব দেয়। সামান্য ও ছোটখাট বিষয় নিয়ে দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টি করে রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষে মেতে উঠে তারা।