কোনাবাড়িতে স্বামী-ভাইকে বেঁধে ভাড়াটিয়াকে গণধর্ষণ!

বিডি মেট্রোনিউজ, গাজীপুর গাজীপুরে এক বাড়ির ভাড়াটিয়াকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষিতা ওই নারী (৩০) গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি হরিনাচালা এলাকার মো. আমজাদ পাঠানের বাড়ির ভাড়াটিয়া। এ ঘটনায় শনিবার ধর্ষিতা বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আসামিরা হলো- বাড়ির মালিক আমজাদ পাঠান (৫০), তার সহযোগী মো. শাহীন (৪০), মো. ফজলু (৪৫) ও মো. জাহিদ (৬০)। তারা সবাই গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি হরিনাচালা এলাকার বাসিন্দা।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী তার স্বামীর সঙ্গে প্রায় এক মাস আগে চাকরির খুঁজে গাজীপুরে আসেন। পরে কোনাবাড়ির আমজাদ পাঠানের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে বসবাস ও চাকরি খুঁজতে থাকেন।

গত ১৯ মার্চ রাত ১১টার দিকে আমজাদ পাঠান, শাহীন, ফজলু ও জাহিদ ওই নারীর স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে ঢুকে। পরে তার বিয়ের কাগজপত্র দেখতে চায়। বিয়ের কাগজপত্র ঢাকায় তার ভাইয়ের কাছে আছে জানালে আসামিরা তাকে মারধর করে। এ সময় শাহীন ওই নারীর গলা থেকে স্বর্ণের চেইন, কানের দুল ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে আসামিরা আমজাদ পাঠানের বাড়িতে নিয়ে একটি কক্ষে তাকে আটকিয়ে রাখে। পরে তার স্বামী বাসায় ফিরে বিষয়টি জানতে পেরে তার ভাইসহ আমজাদ পাঠানের বাড়িতে গিয়ে প্রতিবাদ করলে তাদেরও মারধর করে হাত-পা বেঁধে আটকিয়ে রাখে।

পরে সেখান থেকে ওই নারীকে জোর করে পাশের শাহীনের বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রথমে শাহীন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। পরে আমজাদ পাঠান ও ফজলু তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় অপর আসামি মো. জাহিদ বাইরে দাঁড়িয়ে পাহারা দিয়ে ধর্ষণে সহযোগিতা করে। ধর্ষিতা ওই নারী মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় মামলা দায়েরে বিলম্ব হয়েছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

জয়দেবপুর থানার এসআই মো. শামীম জানান, ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তদন্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts