মেট্রো নিউজ : এই নিয়ে রেকর্ড ৫ বার এশিয়া কাপের আয়োজক হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা স্বাগতিক ছিল ৪ বার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ বার, ভারত ও পাকিস্তান আয়োজন করেছে ১ বার করে।
বুধবার রাতে সভা থেকে দেশে ফিরে বাংলাদেশের আয়োজক হওয়ার খবর নিশ্চিত করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। সম্ভাব্য সূচি অনুযায়ী আগামী বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৬ মার্চ বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হবে এশিয়া কাপের ত্রয়োদশ আসর।
বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বিসিবি প্রধান জানান, এসিসির সভায় সর্বসম্মতিক্রমেই আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নাম পাশ হয়েছে। এশিয়া কাপ আয়োজনের প্রসঙ্গটি ওঠা মাত্রই আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নাম প্রস্তাব করে পাকিস্তান। ভারতসহ অন্য দেশগুলোও আপত্তি করেনি।
সবশেষ দুবার (২০১২ ও ২০১৪) এশিয়া কাপ বাংলাদেশে হওয়ায় এবার আয়োজকের দৌড়ে শুরুতে ছিল না বাংলাদেশ। বিসিসিআইয়ের রাজি হওয়া সাপেক্ষে এবারের আসর হওয়ার কথা ছিল ভারতে। পরে সম্ভাব্য আয়োজক হিসেবে উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরাতের নামও। কিন্তু নানা বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত আবারও টুর্নামেন্ট হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেই।
বিসিবি বরাবরই আরও একবার এশিয়া কাপ আয়োজনে নিজেদের আগ্রহ জানিয়ে আসছিল। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান গত কিছুদিনে বেশ কবার বলেছেন, ভারত রাজি না হলে বাংলাদেশই হবে এশিয়া কাপ।
এই প্রথমবারের মত এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। গত এপ্রিলে এসিসি জানায়, ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সঙ্গে মিল রেখে এখন থেকে আয়োজন করা হবে এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আগে বলে প্রস্তুতির জন্য ২০১৬ এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। আবার ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে ২০১৮ এশিয়া কাপ হবে ওয়ানডে সংস্করণেই। পালাক্রমে চলতে থাকবে এভাবেই।
গত আসরের মত এবারও এশিয়া কাপে অংশ নেবে ৫টি দল। এশিয়ার চার টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের সঙ্গী হবে বাছাইপর্ব পেরিয়ে আসা দল।
আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে বাছাইপর্ব। যেখানে স্বাগতিকদের সঙ্গে লড়বে আফগানিস্তান, হংকং ও ওমান।