জাহিদুল হক চন্দন, মানিকগঞ্জ: অল্প খরচে অধিক মুনাফা ভূট্টা চাষে। যেকারণে ভূট্টা চাষে আগ্রহী মানিকগঞ্জের কৃষক। অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় ভূট্টার ফলনও হয়েছে ভালো। তবে জমি থেকে যথা সময়ে ভূট্টা সংগ্রহ করতে বাজারজাত করতে হিমশিম অবস্থায় রয়েছে কৃষক। কৃষিশ্রমিক সংকটের কারণে বিপাকে রয়েছে মানিকগঞ্জের ভূট্টাচাষিরাও।
মানিকগঞ্জের কৃষি জমি জুড়ে রয়েছে ধান, ভূট্টা আর সবজি। ধানের ফলন পেতে কিছুটা দেরি হলেও সবজি আর ভূট্টা ফলনের মৌসুম চলছে পুরোদমে। এই মৌসুমে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানিকগঞ্জে ভিড় জমায় কাজের সন্ধানে আসা কৃষি শ্রমিকেরা। জেলার বিভিন্ন জায়গায় জমজমাট থাকে শ্রমিকেরা হাট। তবে করোনার প্রভাবে এখন শ্রমিক শূন্য এসব হাট।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন এলাকায় আলাপ হয় একাধিক ভূট্টা চাষিদের সাথে। সরেজমিনে জমিতে দেখা মিলে পাকা ভূট্টার। শ্রমিকের অভাবে যথা সময়ে জমি থেকে ভূট্টার ফলন ঘরে তুলতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে বলে জানান চাষিরা।
জেলার সাটুরিয়া উপজেলার আইড়মারা এলাকার কৃষক মিজানুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে ৪৫ ডিসেমল জমিতে ভূট্টার আবাদ করেছেন তিনি। ফলন এবং বাজারদরও ভালো। তবে শ্রমিক সংকটে ভূট্টার ফলন ঘরে তুলতে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল মাজেদ মোল্লা জানান, করোনার প্রভাবে বাইরের জেলা থেকে শ্রমিক না আসায় শ্রমিকের সংকট রয়েছে মানিকগঞ্জে। কাজেই বাধ্য হয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে স্থানীয় শ্রমিক নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে কৃষকদের। এতে করে ভালো ফলনের পরেও কাঙ্খিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কৃষকেরা। এই বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তিনি।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শাহজাহান আলী বিশ্বাস বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ১৫ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে ভূট্টার আবাদ হয়েছে। ফলন ও বাজারদরও ভালো। তবে প্রয়োজনের তুলনায় শ্রমিকের সংকট থাকায় কাঙ্খিত মুনাফা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে চাষিরা। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েও দেখা হবে বলে জানান তিনি।