সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট দিয়ে কারাগারে

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব ও সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃত সুশান্ত দাশ গুপ্তকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

তিনি গত ২৬ মার্চ হবিগঞ্জে থেকে একটি নতুন পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করেন। পত্রিকার সম্পাদনা শুরু করেই তিনি বর্তমান সরকার, বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মনগড়া, কাল্পনিক ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছিলেন। তিনি শুধু সংবাদ প্রকাশ করেই ক্ষান্ত হননি। প্রতিদিন সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে উল্লেখিতদের সম্মানহানী করেছেন।

মামলার বিবরণ ও বাদী সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময়ে হবিগঞ্জের সাংবাদিকদের দুর্নীতিবাজ বলে অপপ্রচার চালাচ্ছিলেন তথাকথিত এনজিও মালিক সুশান্ত দাশগুপ্ত।

সম্প্রতি তিনি ও তার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক রায়হান উদ্দিন সুমন তাদের ফেসবুকে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব ও এর সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে কটুক্তি করেন। তার এ অপপ্রচারকে ঘিরে জেলার সাংবাদিকদের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। এরই ফলশ্রুতিতে তাদের এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াইয়ে নামেন প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির। নব্য সম্পাদক সুশান্ত দাশগুপ্তের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপে নেয়ায় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

এদিকে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার রাতে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহিরের পরিচালনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ পরিষদের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মামলার বাদীর প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। এতে ৩২ জন সদস্য বক্তব্য রাখেন।

তারা বলেন, আমার হবিগঞ্জ নামক পত্রিকার সাথে জড়িতদের কর্মকান্ড গণমাধ্যম নীতিমালা বিবর্জিত। সুশান্ত দাশ গুপ্ত তার কয়েক সহযোগীকে সাথে নিয়ে হবিগঞ্জের সকল সম্পাদক ও সাংবাদিকদের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে পত্রিকার প্রকাশ করে আসছিলেন। আর প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক উস্কানীমূলক বিভিন্ন অসত্য তথ্য দিয়ে সংবাদ পরিবেশন করা হতো এগুলোতে। এনিয়ে জেলাবাসীর মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।
প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য, দৈনিক দেশজমিনের সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ও সাংবাদিকদের ঐক্যের প্রতীক এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর সম্মানহানীসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মিশনেও নামেন সুশান্ত দাশ গুপ্ত।

বিভিন্ন মামলার আসামী এবং ইংল্যান্ডের নাগরিকত্ব থাকার পরও কিভাবে সুশান্ত দাশ গুপ্ত আমার হবিগঞ্জ পত্রিকা প্রকাশের অনুমতি পেয়েছেন সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলসহ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

একই সাথে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাংয়ে মৃত সুখিয়া রবি দাশের নামে ইংল্যান্ড থেকে ডোনেশন সংগ্রহ করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতসহ প্রেসক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য সদস্যদেরকে দুর্নীতিবাজ বলে অপপ্রচার করায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

মামুন/এইচ

Print Friendly

Related Posts