সিটিস্ক্যান করার অবস্থায় নেই নাসিম

বিডিমেট্রোনিউজ ডেস্ক ॥ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থার কোনো উন্নতি না হওয়ায় তার সিটিস্ক্যান করা যাচ্ছে না।  সোমবার তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার ৭২ ঘণ্টা শেষ হবে। তবে পর্যবেক্ষণের সময় আরও বাড়তে পারে।

মোহাম্মদ নাসিমের জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, ‘সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পালস শনিবার যে রকম ছিল, এখনো সে রকম আছে। তিনি ভেন্টিলেশনে আছেন। শ্বাস-প্রশ্বাস আগে যে রকম ছিল, সে রকমটাই আছে।’

এর আগে দুপুরে কনক কান্তি বড়ুয়া বাসসকে বলেন, ‘তার জ্ঞান কখন ফেরে সেটি বোঝা যাচ্ছে না। এ অবস্থায়ই আরও অনেক সময় থাকতে পারেন। তিনি কোমায় আছেন। সিটিস্ক্যান করার মতো অবস্থায় তিনি নেই। সিটিস্ক্যান করতে গেলেও ঝুঁকি। অবস্থার উন্নতি হলে সিটিস্ক্যান করা হবে।’

নাসিমের ছেলে সাবেক সাংসদ তানভীর শাকিল জয় গণমাধ্যমকে জানান, তার বাবার অবস্থার উন্নতি-অবনতি নেই। অবস্থা আগের মতোই আছেন।

মোহাম্মদ নাসিম একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছেন। শনিবার তার চিকিৎসায় ডা. কনক কান্তি বড়ুয়াকে প্রধান করে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এরপর বৈঠক করে মোহাম্মদ নাসিমকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত দেন ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড।

গত ১ জুন রক্তচাপজনিত সমস্যা নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। ওই দিনই তার করেনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ৪ জুন কিছুটা উন্নতি হলেও ৫ জুন ভোরে স্ট্রোক করেন তিনি। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত সমস্যার কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়।

মোহাম্মদ নাসিম সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মুখপাত্রও তিনি।

২০১৪ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬–২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

Related Posts